এসএনবি ডেস্ক: নবীগঞ্জে জমে উঠেছে দলীয় প্রতীকে পৌর নির্বাচন। প্রার্থীতা নিয়ে শুরু হয়েছে গ্রুপিং আর লবিং। বিএনপিতে লবিং বিদ্যমান না থাকলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগে তুমুল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। মনোনয়ন পেতে একাধিক প্রার্থী দৌড়ঝাপ করছেন। তফশীল ঘোষণা হলেও মনোনয়ন পদ্ধতি নিয়ে অন্ধকারে স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মী। কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি ? এনিয়ে বিশ্লেষণের শেষ নেই। আওয়ামীলীগে মনোনয়ন নিয়ে জটিলতা থাকলেও নিরাপদে রয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পৌরসভার প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী।
আওয়ামীলীগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পৌর নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে পোষ্টার, ব্যানার এবং বিল বোর্ড প্রতিযোগিতায় সয়লাভ পৌর শহরের জনপদ। শুরু হয়েছে সম্ভাব্য নবীণ ও প্রবীন প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার যুদ্ধ। দলীয় আবহে কর্মী, সমর্থকদের কদর বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিপুল প্রচারণা, গনসংযোগ আর বিশালাকার বিলবোর্ড টানিয়ে নজির স্থাপন করেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল। শহরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও তরুণ শিল্পপতি হিসেবে ক্লিন ইমেজ নিয়ে মাঠে সরব তিনি। দলীয় ফোরাম ছাড়াও সার্বজনীন আবহ তৈরীতে পারিবারিক ঐতিহ্য সহায়ক হিসেবে দেখছেন ভোটার সাধারন। জানা যায়, আওয়ামীলীগ শীর্ষ মহলের সাথে যথেষ্ট যোগাযোগ রয়েছে রাহেল চৌধুরীর। তবে দলের একাধিক প্রার্থী নিয়ে বিপাকে উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগ। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন, বর্তমান পৌর মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল, নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি ও আওয়ামীলীগ সমর্থক সুখেন্দু রায় বাবুল। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরীকে রাজনীতির মাঠে বা দলীয় কর্মকান্ডে দেখা না গেলেও বর্তমান মেয়রের তকমা এবং আওয়ামীলীগের বর্তমান উপজেলা কমিটির সদস্য পদ দেখিয়ে মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাপ করছেন।
এক্ষেত্রে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে ও সাধারন জনগনের কাছে শক্ত অবস্থান নিয়ে সক্রিয় রয়েছেন এ প্রজন্মের নেতা গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল। রাজনৈতিক মহলে তার অবস্থান অত্যন্ত সুদৃঢ়। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ মিলুও দলীয় মনোনয়নের জন্য সর্বত্র দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন।
এদিকে পুজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক ও নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি সুখেন্দু রায় বাবুল নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উপজেলা জাপা থেকে একক প্রার্থী হিসেবে সদস্য সচিব মাহমুদ চৌধুরী, স্বতন্ত্র হিসেবে যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাহাঙ্গীর রানা, জুবায়ের আহমদ চৌধুরী ও বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরীর নাম আলোচনায় রয়েছে।