তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকে আমার চিঠির উত্তর দেয়নি। আমি এ দেশের মানুষের সহযোগিতা, সাহস নিয়ে পদ্মা সেতুর কাজে হাত দিয়েছি। এ দেশের অনেকেই এ সেতু নির্মাণ করতে চেক দিয়েছিল কিন্তু আমরা সেগুলো গ্রহণ করিনি। এ দেশের মানুষ এ সেতু নির্মাণ করতে সার্বিক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এ দেশের মানুষের সাহস ও শক্তিই আমাকে শক্তি হিসেবে অনুপ্রেরণা জোগায়। এ সময় তিনি অর্থছাড়ে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুসের হাত আছে এমন ইঙ্গিত করে বলেন, স্বনামধন্য, বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তি (ইউনুস) একটা ব্যাংকের প্রধান ছিলেন। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে একটা মামলা করেছিলেন। মামলায় হেরে গিয়ে তিনি ব্যাংকের প্রধানের পদ খুইয়েছেন। এরপরই বিশ্বব্যাংকের সাবেক পরিচালক তার শেষ কর্মদিবসে পদ্মা সেতুর অর্থ ছাড় বন্ধ করে দেয়।
সমাবেশে যোগ দিতে শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর এমনকি গোপালগঞ্জ থেকেও এসেছেন লোকজন। সুধী সমাবেশের পরই মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর মূল নির্মাণ কাজের ভিত্তিফলক উম্মোচন করবেন তিনি। সেতুর কাজের উদ্বোধনের পর বিকেলে মাওয়া গোল চত্বরে সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ৭ নম্বর পিলার মাওয়া পার থেকে নদীর এক কিলোমিটার ভিতরে। এই পিলারের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে, যার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নদীশাসনের জন্য মাটি ভরাটের কাজ চলছে। পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধিও বাড়বে।