সিলেট বাংলা নিউজ দিরাই প্রতিনিধিঃ দিরাই উপজেলার হাওর রক্ষা বাঁধের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ বোয়ালিয়া, কেজাউড়া ও কাদির পুরের বাঁধ পরিদর্শন করলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম।
গতকাল সোমবার সকাল ১০ টার দিকে জেলা প্রশাসক অতি ঝুকিপূর্ণ কাদির পুর বাঁধ পরিদর্শনে গেলে কৃষকরা হাওর রক্ষা বাঁধ নিয়ে দূর্নীতির অভিযোগ করে বলেন সরকার প্রতিবছর হাওর রক্ষা বাঁধের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও কিছু অসাধু সরকারী কর্মকর্তা ও জন প্রতিনিধিরা ভাগ বাটোরা করে নেন।
সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কোন বছরই বাঁধের কাজ শেষ হয় না। এ সময় জড়ো হওয়া কৃষকদের সান্তনা দিয়ে বলেন জেলা প্রশাসক কৃষকদের এখন অভিযোগের সময় নয়, আমরা এবং আপনারা সবাই মিলে হাওর রক্ষা বাঁধে মাটি কেটে হাওরের পতাকা সোনালী ফসল রক্ষা করুন, আমরা ইতিমধ্যে কয়েক হাজার বস্ত্র নিয়ে এসেছি, সরকার আপনাদের সব সময় সহযোগিতায় দিয়ে যাবে।
আপনাদের সাথে কাজ করতে আমি সুনামগঞ্জ থেকে ছুটে এসেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন বলেন গভীর রাত থেকেই আমরা কেজাউড়া, বোয়ালিয়া ও কাদির পুর বাঁধে মাটি কাটার কাজের তদারকি করেছি, প্রশাসনের লোকরা বাঁধে অবস্থান করছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন আমরা সার্বক্ষনিক বোয়ালিয়া, কাদির পুর ও কেজাউড়ার বাঁধের তদারকিতে আছি, বাঁধে প্রশাসন ও স্থানীয় কৃষকেরা মাটি কাটছেন, কৃষক ফরহাদ মিয়া বলেন গভীর রাতের দিকে কাদির পুরের বাঁধ দিয়ে বরাম হাওরে পানি ডুকা শুরু করলে মাইকিং করে ধল, আমির পুর, কাদির পুর গ্রাম সহ আশেপাশের লোকজন মিলে মাটি কাটা শুরু করি, বহু কষ্টের বিনিময়ে এখন কোন রকম পানি ডুকা বন্ধ হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান অসুস্থ হয়ে সিলেট চিকিৎসাধীন রয়েছেন, স্থানীয় মেম্বারা আমাদের সাথে মাটিকাটার কাজে সহযোগীতা করেছেন।
পাউবো উপ-সহকারী প্রকৌশলী খলিলুর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ছবি. বস্ত্রা হাতে বাঁধে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসক