এসবিএন ডেস্ক:
প্রতিদিনের ব্যস্ততায় নিজেকে ঠিকঠাক রাখার পরামর্শ দিয়েছেন অনেক বিশেষজ্ঞরা। প্রতিদিন সকাল ৮টার আগে কয়েকটি কাজ মনোযোগের সঙ্গে করলেই নিজেকে ফিরে পাবেন বলে মনে করেন এসব বিশেষজ্ঞরা। এসব পরামর্শ তুলে ধরেছে বিজনেস ইনসাইডার।
এখানে যে তালিকা দেওয়া হয়েছে তা দীর্ঘ মনে হতে পারে। কিন্তু শর্তগুলো খুবই সহজ।
১. ঘুম থেকে উঠে পড়ুন,
২. স্থিত হোন,
৩. নড়াচড়া শুরু করুন,
৪. হালকা কাজ শেষে নাস্তা করে ফেলুন,
৫. বাইরের কাজের জন্যে প্রস্তুত হোন,
৬. এ কয়টি কাজ ঠিকমতো করলেই অনুপ্রেরণা আসবে,
৭. লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক করুন এবং
৮. প্রবল উৎসাহ পেতে কিছু একটা করুন।
আরো কিছু কাজ সঠিকভাবে করার চেষ্টা করবেন।
গভীর ঘুম : টানা ৭ ঘণ্টার গভীর ঘুম দেওয়ার আয়োজন করতে হবে। আমেরিকার ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন জানায়, ৪০ মিলিয়ন মানুষের ঘুমসংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। এরা ঘুম সংশ্লিষ্ট ৭০ ধরনের সমস্যায় ভুগছেন। এদের ৪০ শতাংশই দিনের সময়টাতে ঘুম-কাতুরে হয়ে পড়েন। এভাবে প্রতি মাসেই বাড়তি কিছু সময় তারা ঘুমিয়ে পড়েন।
ঘুমের উপকারিতা : স্বাস্থ্যকর ঘুমের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। যেমন : স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, দীর্ঘায়ু, মনোযোগ বৃদ্ধি, ফ্যাট হ্রাসসহ পেশী’র সমস্যা দূর করা, স্ট্রেস কমে আসা, অসাবধানতাজনিত কারণে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমে আসা, বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসা ইত্যাদি।
প্রার্থনা অথবা মেডিটেশন : সব ধরনের প্রার্থনা এক ধরনের মেডিটেশন। আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে এর তুলনা নেই। মেডিটেশনের মাধ্যমে যেকোনো মানসিক ও শারীরিক সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা সক্ষম। এর মাধ্যমে জীবনে তৃপ্তি আসে।
কঠোর ব্যায়াম : হালকা ব্যায়াম ও কঠিন ব্যায়ামের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বেশ পরিশ্রমের মাধ্যমে যে ব্যায়াম করা হয়, তা দেহকে সুঠাম করে। শক্তি দারুণ বৃদ্ধি পায়। আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তাই কঠোর ব্যায়ামের দিকে ঝুঁকে পড়ুন।
প্রোটিন অন্তত ৩০ গ্রাম : প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। দেহের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে প্রোটিন প্রয়োজন। এই উপাদানটি সকালের নাস্তার সঙ্গে সেরে ফেলা উচিত। নাস্তার ৪০ শতাংশ জুড়ে ক্যালরি এবং প্রোটিন থাকা উচিত। একটি ডিমে ৬ গ্রাম প্রোটিন মিলবে। এ ছাড়া মাংস বা কটেজ চিজে রয়েছে প্রোটিন।
আরামের গোসল : গরম পানি ছাড়া স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে আরামের গোসল দিন। এই এক গোসলেই পুরো ঝরঝরে হয়ে যাবেন। পরের কাজগুলোর জন্যে প্রস্তুত আপনি।
বিনোদন আনুন : এ কাজের জন্যে গানও শুনতে পারেন। সাধারণত মানুষ গান শুনেই তাৎক্ষণিক আনন্দ পান। আবার অনেকে শেখার জন্যে একটু পড়ালেখা করতে পছন্দ করেন। যেটা ভালো লাগে সেটাই করুন।
দীর্ঘমেয়াদের পরিকল্পনা : প্রতিদিন অন্তত একটা কাজ দূর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সম্পন্ন করুন। বর্তমান কাজকে এগিয়ে নিতে অথবা নতুন কিছু করতে যা প্রয়োজন তা নিয়ে ভাবুন। এই চিন্তা আপনার ভাবনায় গভীরতা দেবে।