সিলেট বাংলা নিউজ দিরাই প্রতিনিধিঃ সিলেট জামেয়া কাসিমুলউলুম দরগাহ হযরত শাহজালাল (র) মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আবুল কালাম জাকারিয়া বলেছেন কওমী মাদ্রাসা হচ্ছে কোরআন সুন্নার ধারক ও বাহক, কওমী মাদ্রাসায় আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদর্শের শিক্ষা দেওয়া হয়।
কওমী মাদ্রাসার কোন ছাত্র শিক্ষক কখনও সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদে বিশ্বাস করে না, কওমী মাদ্রাসা শান্তি ও নৈতিকতার শিক্ষা দেয়। কওমি মাদ্রাসা জঙ্গী প্রজনন কেন্দ্র নয় এখানে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের শিক্ষা দেওয়া হয়, ইসলামে জঙ্গী বাদের কোন স্থান নেই।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় তাহফিজুল কোরআন পরিষদ বাংলাদেশ আয়োজিত দিনব্যাপী হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দিরাই পৌর শহরের বাগানবাড়ি কমিউনিটি সেন্টারে পরিষদের সভাপতি হাফিজ মাওলানা লোকমান আহমদের সভাপতিত্বে ও হাফিজ আলী হোসেন ইমনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ এডভোকেট শাহিনুর পাশা চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার, দিরাই পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়া, মাওলানা হোসাইন আহমদ, মুফতি শফিকুল আহাদ, মাওলানা আব্দুল বাছির, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা কবির আহমদ।
বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন হাফিজ মাওলানা ফখরুল ইসলাম, হাফিজ মাওলানা ক্বারী আবু তাহের, হাফিজ মাওলানা আসাদুল্লাহ, হাফিজ মাওলানা মাছুম আহমদ।
অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের ৪টি জেলার প্রতিযোগিরা অংশ নেয়। ১৫ পাড়ার প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান লাভ করে হবিগঞ্জ জেলার উমেদ নগর মাদ্রাসার হাফিজ ছানিমুল হক, ২য় স্থান লাভ করে সুনামগঞ্জের বাদেজিগলী মাদ্রাসার হাফিজ আবু সুলেমান, ও তৃতীয় স্থান লাভ করে সিলেটের মুস্তাক আহমদ।
৩০ পাড়ার প্রতিযোগিতায় ১ম হয়েছেন বাদেজিগলী মাদ্রাসার হাফিজ আজহারউদ্দীন সাজু, দ্বিতীয় হয়েছেন হবিগঞ্জের উমেদ নগর মাদ্রাসার হাফিজ শাহজাহান মিয়া ও তৃতীয় হয়েছেন সিলেটের হাফিজ রেজাউল করিম।
পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।