সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ১০দিনেও র্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এখনো তদন্তে কুল-কিনারা খুঁজে পায়নি।
এবার মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষা, সুরতহাল প্রস্তুতসহ পুনঃময়নাতদন্তের জন্য বুধবার কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
গত সোমবার লাশের পুনঃময়না তদন্তের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি একেএম মনজুর আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে কুমিল্লার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগম এ আদেশ দেন।
বুধবার (৩০ মার্চ) সকাল সোয়া ৭টার দিকে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন ও কুমিল্লা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খানের নেতৃত্বে পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং সিআইডির একটি বিশেষজ্ঞ টিম পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে মির্জাপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
বেলা সাড়ে ১০টার মধ্যেই প্রথম শ্রেণির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন নাহারের উপস্থিতিতে তনুর মরদেহ উত্তোলনের পর সিআইডি কর্তৃক আলামত সংগ্রহ ও সুরতহাল তৈরি পূর্বক মরদেহের পুন:ময়না তদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর কথা রয়েছে।
কুমেক হাসপাতালে তনুর ময়নাতদন্তের জন্য এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে এসব তথ্য জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি একেএম মনজুর আলম।
এর আগে গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অদূরে পাওয়ার হাউজ এলাকার কালা ট্যাংকি সংলগ্ন জঙ্গল থেকে কলেজ ছাত্রী তনুর লাশ উদ্ধার করার পর তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে গত ২১ মার্চ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রথমে মামলাটি তদন্ত করেন কোতয়ালী মডেল থানাধীন ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাইফুল ইসলাম। পরে মামলাটি গত ২৫ মার্চ রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। ঘটনার রহস্য উন্মোচনের জন্য ১০দিনের মাথায় বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে ডিবি সূত্রে জানানো হয়েছে।