সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা নাশকতার ২ মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী এ আদেশ দেন।
এর আগে মির্জা ফখরুল পল্টন থানার তিন মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। ফখরুলের পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, খোরশেদ আলম জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেন। তারা যেকোনো শর্তে অসুস্থ ফখরুলের জামিন প্রার্থনা করেন।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু, সালমা হাই টুনি জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত একটি মামলায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন এবং অপর দুই মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনের সময় পল্টন থানার নাশকতার ওই তিন মামলায় মির্জা ফখরুলকে হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে রুল জারি করেছিলেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলে গেলে আপিল বিভাগ রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন এবং জামিনের মেয়াদ শেষে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেন।
হাইকোর্ট গত বছরের ২৪ নভেম্বর রুল নিষ্পত্তি করে ওই তিন মামলায় মির্জা ফখরুলকে তিন মাসের জামিন দেন।
তবে সে সময় ফখরুলের আইনজীবীদের দাবি, রুল নিষ্পত্তির মাধ্যমে সাধারণত মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামিন হয়। কিন্তু এখানে মাত্র তিন মাসের জামিন দেওয়া হয়েছে। এ কারণে হাইকোর্টের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে মির্জা ফখরুল গত ৭ জানুয়ারি লিভ টু আপিল করেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ আবেদনের শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আবেদনটি ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
উল্লেখ্য, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। এতে মির্জা ফখরুলকে দলের পূর্ণাঙ্গ মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর বিএনপির মহাসচিব হিসেবে প্রথম দিনটি কারাগারেই কাটাতে হচ্ছে মির্জা ফখরুলকে।