সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্ঘটনায় চালকদের দায়ী করার আগে যত্রতত্র রাস্তা পারাপার বন্ধ করতে হবে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আগে চালককে দোষ দেওয়া হয়। কিন্তু বিবেচনা করা হয় না কার জন্য দুর্ঘটনা ঘটল।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের রমনা থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তা পর্যন্ত ২ কিলোমিটার অংশের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী তেজগাঁও অংশে উদ্বোধনের ফলক উন্মোচন করে ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল প্রান্তে পৌঁছান। এরপর অফিসার্স ক্লাবে মূল অনুষ্ঠানে ফ্লাইওভারের এ অংশের উদ্বোধনী ঘোষণা করেন তিনি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রাফিক রুলস সবার জানা উচিত। রাস্তা পারাপারে নিয়ম মানা উচিত। দুর্ঘটনা ঘটলেই আমরা সব সময় গাড়ির চালককে দোষ দিই। কিন্তু কেন দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখি না।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, যানজট বাড়ছে, এতে আমরা অস্থির হই। কিন্তু এটাও তো সত্যা আমাদের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা যানজট নিরসনে কাজ শুরু করি। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ কর দেয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা আবার যানজট নিরসনে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছি এবং সেগুলো বাস্তবায়নে কাজ করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিআরটিসিকে লোকসানি খাত দেখিয়ে তা বন্ধ করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় এসে এটিকে লাভজনক খাত বানিয়েছি। বছরে ৩৩ কোটি বই বিতরণ করা হয় সরকারি গাড়িতে। সবকিছু বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিলে তারা ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়াবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার সাধারণ জনগণের জন্য রেলের উন্নতি করেছে। নৌপথে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে। দেশে যোগাযোগব্যবস্থা যত উন্নত হবে, তত দেশের উন্নতি হবে।’
অনুষ্ঠানে এলজিআরডিমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন উপস্থিত ছিলেন।
মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয় ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি। দুই বছরের মধ্যে নির্মাণ শেষ করার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় এর সময় বাড়ানো হয়েছে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ভারতের সিমপ্লেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও নাভানার যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান ‘সিমপ্লেক্স নাভানা জেভি’ এবং চীনা প্রতিষ্ঠান দ্য নাম্বার ফোর মেটালার্জিক্যাল কনস্ট্রাকশন ওভারসিজ কোম্পানি (এমসিসিসি) ও তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড উড়াল সড়কটির নির্মাণকাজ করছে।
সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) এই প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে।