এসবিএন ডেস্কঃ স্থূলতার কারণে স্বামীকে অপমান করার উদ্দেশ্যে ‘মোটা হাতি’ বললে তা তালাকের ক্ষেত্র তৈরির জন্য যথেষ্ট। এ ধরনের মন্তব্যে বৈবাহিক চুক্তির লঙ্ঘন বিধায় তালাকের জন্য তা যথেষ্ট কারণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
গত ২২ মার্চ একটি মামলার শুনানি শেষে দিল্লি হাইকোর্ট এ রায় দিয়েছেন।
২০১২ সালে পারিবারিক আদালতে তালাকের জন্য মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। এতে তিনি অভিযোগ করেন, মোটা হওয়ার কারণে তিনি তার স্ত্রীর নিপীড়নের শিকার। এ ছাড়া তিনি তার স্ত্রীর যৌন চাহিদাও সম্পূর্ণভাবে মেটাতে সক্ষম নন।
পারিবারিক আদালত তালাকের অনুমতি দিলে ওই বছরই স্ত্রী হাইকোর্টে ওই রায় চ্যালেঞ্জ করে আপিল আবেদন করেছিলেন।
মামলার রায়ে হাইকোর্টের বিচারপতি ভিপিন সাংঘি বলেন, ‘স্বামীকে বিকৃত নামে ডাকা এবং “হাতি”, “মোট হাতি” এবং “মোটা এলিফ্যান্ট”সহ বিভিন্ন অবমাননাকর শব্দে সম্বোধন করলে, এমনকি সে যদি সত্যিকারর্থে মোটাও হয়, তাহলে এটি তার আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদায় আঘাত হানতে বাধ্য।’
আদালত বলেন, যখন দু’টি পক্ষ বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়, তখন বিবাহকালীন সব অপরাধ কিংবা অন্যায় লিপিবদ্ধ করার জন্য তারা লগবুক ব্যবহার করবে, এটা আশা করা যায় না।
মামলায় ওই স্বামী অভিযোগ করেছিলেন, তার স্ত্রী কেবল তাকে চড়ই মারেননি, বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেও বলেছিলেন। এমনকি তার স্ত্রী নিজেকে কেরোসিনে দগ্ধ করে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনকে যৌতুকের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন।
ওই নারী তার গয়না ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে তার শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। স্বামীকে তিনি জানিয়েছিলেন, যদি তাকে অনুগত স্ত্রী হিসেবে পেতে হয় তাহলে তার নামে স্বামীর সম্পত্তি লিখে দিতে হবে।
অভিযোগে আরো বলা হয়, ২০০৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে যৌনমিলন করতে চাইলে স্ত্রী তার গোপনাঙ্গে আঘাত হেনেছিলেন এবং তাকে আহত করেছিলেন।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা পরিষ্কারভাবে বৈবাহিক চুক্তির লঙ্ঘন এবং অভিযোগকারীর (স্বামী) মনে স্বাভাবিকভাবে বিশ্বাস ও আশঙ্কা তৈরি করে যে, শান্তিপূর্ণ ও মানসিকভাবে সম্পর্ক বজায় রাখা তার জন্য নিরাপদ নয়।’