এসবিএন ডেস্ক:
জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যার ঘটনায় জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন রংপুর রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি)। একই সঙ্গে পীরগাছায় মাজারের খাদের রহমত আলীকে খুন ও রংপুর নগরীর বাহাই সম্প্রদায়ের নেতা রুহুল আমিনকে গুলি করে হত্যার তিন ঘটনার সঙ্গেই জেএমবি জড়িত বলে তিনি জানান। আজ মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১টায় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
ডিআইজি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়ির পীরগাছার জেএমবি কমান্ডার মাসুদ রানাকে আটক করা হয়েছে। মাসুদ রানা নিজে কুনিও হোশিকে গুলি করে হত্যা করেছেন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তদন্ত কমিটির প্রধান ডিআইজি হুমায়ুন কবীর বলেন, জেএমবি ওই কমান্ডারের কাছ থেকে এ অঞ্চলের জেএমবি সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও কারা এর সঙ্গে জড়িত এর বিস্তারিত তথ্য পুলিশের কাছে রয়েছে। কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া খুনিদের শুধু চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
পুলিশকে সময় দিতে হবে এবং তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন জানিয়ে বিদেশিদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় এমন কোনও খবর পরিবেশন না করতেও গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান ডিআইজি হুমায়ুন কবীর। গত ৩ অক্টোবর বেলা পৌনে ১১টার দিকে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার আলুটারিতে গুলিতে নিহত হন জাপানি নাগরিক হোসে কোনিও।