এসবিএনঃ সিলেটের দক্ষিণ সুরমার জৈনপুর এলাকার একটি নিরীহ পরিবারের বাড়িতে সন্ত্রাসী দিয়ে প্রতিপক্ষরা হামলা ও বাউন্ডারী দেয়াল ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জৈনপুর গ্রামের হাজী মো. ইসমাইল আলীর পুত্র মো. ফখরুল ইসলাম ওরফে জাল আব্দুছ ছালামসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনকে আসামী করে দক্ষিণ সুরমা থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। নং- ৮ (২১-০৩-১৬)।
মামলার এজাহারনামীয় অপর আসামীরা হচ্ছে- দক্ষিণ সুরমা থানার জৈনপুর গ্রামের মৃত সজিদ আলীর পুত্র সিরাজুল ইসলাম, একই গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের পুত্র মুমিনুল হোসেন তার সহোদর মুমিতুল হোসেন।
এসব আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করলেও পুলিশ রহস্যজনক কারনে তাদেরকে গ্রেফতার করছে না।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ জমি-জমা নিয়ে ফখরুল ও প্রতিপক্ষ জাল ছালামদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ছালাম ও সিরাজুল ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে ফখরুল ইসলামের পরিবারকে নানা ভাবে জুলুম নির্যাতন করতে থাকে।
গত ১৯ মার্চ বেলা আড়াই টার দিকে ছালাম ও সিরাজুল কর্তৃক ওইসব ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে ফখরুল ইসলামের বসতবাড়ির বাউন্ডরী দেয়াল জোরপূর্বক বাড়ির দেয়াল কিছু অংশ ভেঙ্গে ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এ সময় ফখরুল ইসলামের বড় ভাই তাদেরকে বাঁধা দিলে আব্দুছ ছালামসহ সন্ত্রাসীরা অস্ত্র দিয়ে তাকে তাড়া করে। পরে এসব সন্ত্রাসীরা ফখরুল ইসলামের বাড়ির পিছনের টিউওয়েলের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে।
তখন ফখরুল ইসলামের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এতেও বাঁধা দিলে তাদেরকেও প্রাণনাশের হুমকী-ধমকী দেয়। তখন তাদের ভয়ে তারা ঘরের ভিতর এসে বসতঘরের গ্রীলে তালা দিয়ে কক্ষে আটকিয়ে রাখে।
এ সময় বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলে সকল আসামীরা ফখরুলসহ তার পরিবারকে মামলা-মোকদ্দমা করলে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার কয়েকদিন আগেও ফখরুলসহ তার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় জাল ছালামসহ প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করেন।
মামলার বাদি ফখরুল ইসলাম জানান, এ মামলা ছাড়াও ছালাম জালিয়াতি করে তার পরিবারের জমি-জমা আত্মসাত করার চেষ্টা করছে। তার ওপরে দুদকের জালিয়াতি মামলা (নম্বর ৮/১৫) রয়েছে।
ছালাম বাড়ি দখলের নানা বেআইনী কাজে লিপ্ত। এর অংশ হিসেবেই গত ১৯ মার্চ দুপুরে তিনি যখন বাড়িতে ছিলেন না, তখন তার পরিবারের মহিলাদের ওপর হামলা চালিয়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে দীর্ঘ দেয়ালের প্রায় ২০ ফুট অংশ ভাঙচুর করে জাল ছালাম।
ওই দেয়ালটি তিনি ১ বছর আগে নির্মাণ করেছিলাম। এছাড়াও একটি স্বত্ব মামলা (নম্বর৫৮/১৫) আদালতে বিচারাধীন।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।