গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি:: বিভিন্ন দুর্নীতি-অনিয়ম র অভিযোগে ডৌবাড়ী ইউনিয়ন প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র সভাপতি এনামুল হক, সহ-সভাপতি আতাউর রহমান, সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক সফিউল্লাহ মাসরুর, সহ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ কে
বহিষ্কার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) ডৌবাড়ী ইউনিয়ন প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি হারিছ মিয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আরিফ উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদ উদ্দিন এই তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। এদিকে ডৌবাড়ী ইউনিয়ন প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্টের নামে একটি ভুয়া কমিটি হয়েছে বলেও গুঞ্জন উঠেছে। এই কমিটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি হারিছ মিয়া, সহ-সভাপতি ফয়সল আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আরিফ উদ্দিন।
ট্রাস্টের সভাপতি হারিছ মিয়া জানান, সবাই মিলে আমাকে জোর করে আমার উপর সভাপতির দায়িত্বভার অর্পণ করেছিল। আমি প্রথমে রাজি ছিলাম না। এখন আবার তারা বলছে আমি নাকি অপারগতা প্রকাশ করে স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছি৷ এই কথা সটিক নয়। আমি এখন দায়িত্বে আছি।
সহ-সভাপতি ফয়সল আহমদ মোস্তফা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ডৌবাড়ী ইউনিয়ন প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্টের তহবিলের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল এনামুল ইসলাম,শফিউল্লাহ মাসুরুর এবং হারুন রশিদের সাথে। তহবিলের সম্পূর্ণ টাকা আমানত ছিল এনামুল ইসলামের কাছে । সভাপতি সাহেব বলেছিলেন তহবিলের টাকা সংগঠনের কাছে সমজিয়ে না দিলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা তিনজন এবং আতাউর রহমান চক্রান্ত করে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে গিয়ে আরেকটি কমিটি করেছে। যেটি সম্পূর্ণরূপে ভুয়া।
তবে অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে অভিযুক্তরা বলছেন, সংগঠনের কিছু সম্মানিত দায়িত্বশীল তাদের ব্যক্তিগত সমস্যা তাকার কারনে তারা দায়িত্ব পালনে অনিহা প্রকাশ করেন। এই সংগঠনের কার্যকম গতিশীল করার জন্য আমরা সবাই মিলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক সহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব প্রদান করেছি। এবং সংগঠনের ফান্ডের কোন টাকা আত্মসাৎ করা হয়নি। নিয়মনুযায়ী অর্থ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম কাছে সংগঠনের ফান্ডের টাকা জমা আছে।
সিলেট৭১নিউজ/টিআর/আর /বিজ্ঞপ্তি