স্টাফ রিপোর্ট : বছর ঘুরে আবারো আসছে ঈদ উৎসব। তাই শপিং মলগুলোর মতো সিলেট নগরীর ফুটপাতের দোকানগুলোতেও জমে উঠেছে কেনাকাটা। এখানে মানভেদে ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকায় প্রতি পিস পাঞ্জাবি, ১৬০ টাকায় শিশুদের টি-শার্ট ও শার্ট এবং ফ্রক ২৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সব বয়সী নারী-পুরুষের জন্য রং বে-রঙের বিভিন্ন ডিজাইনের জামা-কাপড় পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতে। সারি সারি এসব দোকানগুলো থেকে পছন্দমতো জামা-কাপড় ও শার্ট কিনছেন মানুষ। এখানে শার্ট বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২৬০ টাকায়। এসব শার্ট বিভিন্ন কারখানা থেকে সংগ্রহ করে এখানে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। ফুটপাতে অল্প আয়ের মানুষ সাধ্যের মধ্যে পণ্য কিনতে পেরে যেমন খুশি, তেমনি পণ্য বিক্রি করে খুশী দোকানীরাও।
ঈদ উপলক্ষে ফুটপাতের দোকানগুলোতে শিশুদের ফ্রক, টি-শার্ট ছাড়াও বাহারী ডিজাইন ও নানা রঙের শিশুদের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা সাধ্যের মধ্যে পছন্দের জামা কাপড় খুঁজে নেন এই ফুটপাত থেকে। এখানে পাওয়া যাচ্ছে হরেক রকমের পায়জামা পাঞ্জাবি। রমজানের প্রথম দিকে তেমন জমজমাট না থাকলেও এরই মধ্যে জমে উঠেছে ফুটপাতের ব্যবসা।
নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সব বয়সী নারী-পুরুষের জন্য রং-বেরংয়ের বিভিন্ন ডিজাইনের জামা-কাপড় পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতে। নগরের ফুটপাতের বাজারে প্রতিনিয়তই ক্রেতারা আসছেন, পছন্দমতো জামা-কাপড় কিনছেন। কেউ কর্মস্থলে যাওয়ার সময় কেউবা ফেরার সময় পছন্দমতো নিজেদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারছেন। কোর্টপয়েন্ট এলাকায় জমজমাট দেখা গেছে মার্কেটের বাইরে ফুটপাতের বেচাকেনায়।
ফুটপাতের বেচাকেনা খোঁজ নিতে বন্দরবাজারস্থ কোর্টপয়েন্ট যেতেই কানে ভেসে এলো ‘দেইখ্যা লন দুইশ’, বাইছ্যা লন দুইশ’, একদাম দুইশ’, যেটাই নেবেন দুইশ’। এ রকম শব্দ শুধু এখানেই নয়, নগরজুড়েই। অগ্রগামী স্কুলের সামনের সামনে ফুটপাতে গেঞ্জির ব্যবসা করেন আমজাদ হোসেন। এক দাম ৪০ টাকায় বেচাকেনা করছেন তিনি। পাশেই কয়েকটি জুতার দোকানে গিয়ে দেখা যায় তারাও এক দামেই ব্যবসা করছেন। যার যে জুতা পছন্দ হচ্ছে এক দাম বলে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। ক্রেতার পছন্দ ও সাধ্যের মধ্যে হলে প্যাকেট করছেন আর সাধ্যের মধ্যে না হলে অন্য দোকানে ছুটছেন। এক দামের বিষয়ে ফুটপাতের ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান জানান, প্রতিদিন অনেক ক্রেতার সঙ্গে কথা বলি। রোজা রাইখা বেশি কথা ভালো লাগেনা সীমিত লাভ রেখে মাল (পণ্য) ছাইড়া দিচ্ছি।
ফুটপাতের ব্যবসায়ী জানান, ঈদের সময় যতো ঘনিয়ে কাছে আসবে বেচাকেনা মধ্যরাত ছাড়িয়ে যাবে। মার্কেট ভেদে ছেলেদের শার্ট বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, জিন্স প্যান্ট ৩৫০ থেকে সাড়ে ৭০০ টাকায়, টি-শার্ট ২৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, মেয়েদের থ্রি-পিস ৪৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা, শাড়ি ৪৫০ থেকে ১৫০০ টাকা, বাচ্চাদের থ্রি-কোয়াটার জিন্স প্যান্ট ৩০০ টাকা, গেঞ্জির সেট ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, ফ্রক ও টপস ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা, ছেলে ও মেয়ে শিশুদের জন্য হাতাকাটা গেঞ্জি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা।
ফুটপাত থেকে মেয়ের জন্য গোলফ্রক কিনেছেন লুনা বেগম। তিনি বলেন, বলেন, মার্কেটে বিভিন্ন দোকানে পোশাকে কয়েকগুণ অতিরিক্ত মূল্য তালিকা লাগিয়ে রেখেছে। একই পণ্য বাইরে তুলনামূলকভাবে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। তাই ফুটপাথের মার্কেট থেকে ক্রয় করছি।
আশরাফুল আলম হিমন নামের আরেক এক ক্রেতা বলেন, পোশাকের দোকানগুলোতে মনিটরিং করা উচিত। বেশির ভাগ দোকানে পণ্যের কোয়ালিটির চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মূল্য তালিকা লাগিয়ে রাখা হয়। তাই নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের পছন্দের জায়গা ফুটপাথ।