নিউজ ডেস্ক : সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, এ জাতীয় সংসদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেগড়া, তার স্মৃতি ধন্য। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যারা বঙ্গবন্ধুকে প্রত্যক্ষভাবে হত্যা করেছিল তাদেরকে এই সংসদে এনে বসিয়েছিলেন, তাদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছেলেন যাদের হাত বঙ্গবন্ধুর রক্তে রঞ্জিত। বিএনপি এইভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এই সংসদে এনে পবিত্র সংসদকে অপবিত্র-কুলষিত করেছিলো।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সত্যিকার অর্থে একজন অপ্রতিরোধ্য মহামানব, তিনি সাচ্চা দেশ প্রেমিক বাঙালী জাতীর হৃদপিণ্ড। তিনি অকুতভয় সৈনিক, তিনি দানবীর, হ্যামিলটনের বাঁশিওয়ালা। তিনি যদি জীবিত থাকতেন তাহলে তিনিই হতেন বিশ্বের অবহেলিত, মেহনতি মানবতার মূর্ত প্রতীক, যা ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিও বলেছিলেন।
শনিবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে এসব কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করছিলেন।
শাজাহান খান বলেন, বিএনপি বর্তমানে বাক স্বাধীনতার কথা বলছে, গণতন্ত্রের কথা বলছে। কিন্তু ২০১৪-১৫ সালে তারা গণতন্ত্রের জিগির তুলে নির্বাচন বানচাল করার জন্য অগ্নি সন্ত্রাস করে। শত শত মানুষকে হত্যা করে, পুড়িয়ে কুপিয়ে মারে। তারা এভাবে শ্রমজীবী, সাধারণ মানুষতে হত্যা করে ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিজয় লাভ করে বাড়ি ফেরার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ তা হতে দেয়নি, বিজয় তো তো দুরের কথা মাথা নিচু করে তাকে বাড়ি ফিরতে বাধ্য করে।
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, বিএনপি আমলে বাক স্বাধীনতা ছিল না, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ছিল না।
তিনি বিএনপির প্রতি বলেন, আপনারা আসুন নির্বাচনে অংশ নেন। একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন রয়েছে, তাদের নেতৃত্বে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে আপনারা অংশ নিয়ে জনগণের ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসুন, অন্য কোন ভাবে ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই।