শাল্লা সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের স্বপ্ন দিরাই-শাল্লা সড়ক। স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই স্বপ্ন অধরা শাল্লাবাসীর। উপজেলার একমাত্র প্রবেশদ্বার দিরাই-শাল্লা সড়ক। ২০১০ সালে ১১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখনো অসমাপ্ত এই কাজ। ১৯ কিলোমিটার পাকা কাচা সড়কে বৃষ্টি হলেই কাদা-পানির কারণে সৃষ্টি হয় জনদুর্ভোগ।
বৃষ্টির পানি ও মাটি মিশে কাদায় একাকার হয়ে যায় পুরো সড়ক। এতে যোগাযোগ বিড়ম্বনায় পড়তে হয় এলাকার হাজার হাজার মানুষের। এতো বছরেও পুরো সড়কটি পাকা না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।
সরজমিনে দেখা যায়, সামান্য বৃষ্টি হলেই চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় এ পথে যাতায়াতাকারীদের। আনন্দপুর বিদ্যুৎ অফিস থেকে প্রায় আধা কি.মি সড়কে কাদা মাটি। শাল্লা ব্রীজ সংলগ্ন পুরো এলাকা কাদা-পানিতে বেহাল দশা। একমাত্র যানবাহন মোটরসাইকেল নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় আরোহীদের। মোটরসাইকেল থেকে নেমে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়া ছাড়া এ জায়গা পারাপার করা অসম্ভব। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এ সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। মাঝে মাঝে ছোটখাটো দুর্ঘটনায় পড়তে হয় তাদের। বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় এ পথেই চলতে হয় সবার।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জানান, আমাদের দুঃখের শেষ নেই। একটি মাত্র সড়ক হবে হবে বলে আজো হলোনা। বর্ষায় নৌকা আর হেমন্ত মৌসুমে মোটরসাইকেল ছাড়া আর কোন যানবাহন নেই আমাদের উপজেলায়। চৈত্রের শুরু কিংবা মাঝামাঝিতে সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে কাদার সৃষ্টি হয়। তখন আমাদের পায়ে হাঁটা ছাড়া কিছুই করার থাকেনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, আমাদের স্ত্রী সন্তান অসুস্থ হলে এখান থেকে সময় মতো হাসপাতালেও নিতে পারবোনা। এই সময়টা খুবই ভয়াবহ।
এ বিষয়ে আটগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আন নোমান বলেন, আমাদের বিভিন্ন জরুরি কাজ নিয়েও অনেক সময় আটকে যেতে হয়। কাদা মাড়িয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। উপজেলা সদরে কোন প্রয়োজনে আমার ইউনিয়নের মানুষ কাজ করতে গেলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এ বিষয়ে জানতে শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনের সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।