ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি :: সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার যুধিষ্টিপুরের ঘিলাছড়া ঘাটের বাজারে এক ব্যবসায়ির উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
খবর নিয়ে জানাযায়, ঘিলাছড়া বাজারের মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডাস নামক চালের দোকানে ২৬ জুন মঙ্গলবার পাশবর্তী ঘিলাছড়া মাঠে ইসলাম ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ওয়াজ মাহফিল থেকে কয়েকশত মুসল্লীরা নারায়ে তাকবির আল্লাহু হু আকবার শ্লোগান দিয়ে লাঠিশটা নিয়ে ।হামলা চালায়। ঐ সময় দোকানের মালিক আবুল হাসান ইরন নামের এক ব্যবসায়ী মারাত্মক আহত হন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা , ঐ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আবুল হাসান ইরন কে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘিলাছড়া বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, আবুল হাসান ইরনের ভাতিজা আব্দুল্লাহ রাকিব তার ব্যবহারিত ফেসবুক আইডিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্মের নবীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ লেখাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে,মুসল্লীরা মূলত নিহত আবুল হাসান ইরনের ভাতিজা আব্দুল্লাহ রাকিবকে খুঁজতে ও তার উপর হামলা চালাতে আসেন, সে দোকান থেকে পালিয়ে গেলে তার চাচার উপর হামলা চালায় হেফাজত পন্থী মুসল্লীরা।
আব্দুল্লাহ রাকিবের সাথে মোবাইল ফোনে তিনি যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, ওয়াজ মাহফিলে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে হেফাজতের স্থানীয় নেতারা ১০,০০০/- টাকার চাঁদা দাবী করেন। চাঁদার টাকা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে হেফাজত নেতাদের সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়।
ঐ সময় আমার বাবা বাংলাদেশর সাম্যবাদী দল (এমএল) এর রাজনীতি নিয়ে বাবাকে নাস্তিক কাফির বলে গালিগালাজ করেন পরে দেখে নেয়ার হুমকি দেন, তিনি আরো জানান, ২৪ জুন রবিবার আমার নাম ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কে বা কাহারা আমার ফেসবুকে ব্যবহৃত ছবি দিয়ে একাউন্ট খুলিয়া প্রোফাইলে ছবি সংযুক্ত করে ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) ও ইসলাম ধর্ম বিষয়ক কূটুক্তিমূলক লেখা পোষ্ট করে। যাহা আমার অগোচরে।
প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল ২৬ জুন মঙ্গলবার
আমার চাচা ও আমি দোকান খুলে বসি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে হেফাজতের ইসলামের ওয়াজ মাহফিল। আমার নামের ফেইক ফেসবুক আইডির পোষ্টকে কেন্দ্র করে মাহফিল থেকে কাফির ফতুয়া দিয়ে এবং বিশ্ব নবীর অবমাননা অপবাদ দিয়ে স্থানীয় ১৫০-২০০ জন মুসল্লি সহ লাঠি সোটা নিয়ে নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবার শ্লোগান দিয়ে দোকানের দিকে আসে কিছু বোঝে উঠার আগেই তারা ক্যাশে বসে থাকা চাচা আবুল হাসান ইরনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
পরিস্থিতি ভয়াবহ দেখে দোকানের পিছনের দরজা দিয়ে কুশিয়ারা নদীতে ঝাপ দিয়ে সাঁতার কেটে পালিয়ে আসি। সন্ধার দিকে আমার বাবা মোবাইল ফোনে চাচার মৃত্যুর খবর জানান,বর্তমানে আমি পালিয়ে আছি।
আবুল হাসান ইরনের বড় ভাই হেলাল উদ্দিন জানান,আমার ছেলে আব্দুল্লাহ রাকিবের নামে ফেসবুকে ফেইক আইডি খুলে চক্রান্ত করে রাজনৈতিক হিংসায় ক্ষমতাশীন দলের নেতা হাসিব উদ্দিনের ইন্দনে উগ্র সংগঠন হেফাজতে ইসলামকে দিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে আমার ছোট ভাই হিরনকে হত্যা করা হয়েছে।
আমি ও আমার ছেলে সহ পরিবার নিয়ে তাদের ভয়ে পালিয়ে ভেড়াচ্ছি। ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মফিজ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের অনুকুলে, তবে এখনো নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা হয় নাই। মামলা হলে অপরাধী যারা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিলেট৭১নিউজ /এম জি