সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক::মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে নেওয়া, পুলিশের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা ছড়ানো এবং সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগে করা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতার ও বিদেশে ‘পলাতক’ সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৬ নভেম্বরের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম হাসিবুল হকের আদালত মামলার এজাহার গ্রহণ করে এ তারিখ ঠিক করেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন—বাবুল আকতারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া এবং ভাই হাবিবুর রহমান লাবু।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার এ মামলা করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামি ইলিয়াসের বক্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করা, ঘৃণা-বিদ্ধেষ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস করেছে।
বনজ কুমার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার নেতৃত্বাধীন তদন্ত সংস্থা পিবিআই, চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্তাধীন থাকাকালে প্রধান আসামি হিসেবে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের নাম বেরিয়ে আসলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় বাবুলের মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য পুলিশ ও পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে অপর আসামিরা দেশে-বিদেশে অবস্থান করে অপরাধমূলক বিভিন্ন অপকৌশল এবং ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় বাবুল আকতার ও অন্যান্য আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন গত ৩ সেপ্টেম্বর বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে তার ফেইসবুক আইডিতে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে, খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেন।
এজাহারে বলা হয়, বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে মিতু হত্যা মামলার তদন্তকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধসহ ভিন্ন খাতে নেওয়ার লক্ষ্যে এ ভিডিও প্রচার করা হয়। আসামি ইলিয়াছ হোসাইন ভিডিওতে দেশের ভাবমূর্তি এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে উসকানি, বাংলাদেশ পুলিশ এবং পুলিশের বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা পিবিআই ও বিশেষ করে বাদীর (বনজ কুমার মজুমদার) মান-সম্মান ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছে।
এজাহারে ওই ভিডিওতে প্রচারিত বিভিন্ন অভিযোগ আলাদা করে বলা হয়, আসামি ইলিয়াসের বক্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করা, ঘৃণা-বিদ্ধেষ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস করেছে।
এজাহারে আরও বলা হয়, শুধু মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারকাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আসামি মো. হাবিবুর রহমান লাবু, আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও বাবুল আকতারদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় এবং সার্বিক সহযোগিতায় ইলিয়াস হোসেন অসৎ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পুলিশ ও বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা পিবিআই এবং বাদির মান-সম্মান চরমভাবে ক্ষুণ্ন করার জন্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য ফেসবুক আইডি ও ইউটিউব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন।
সিলেট৭১নিউজ/টিআর