আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: মালয়েশিয়ায় স্বদেশি এক সহকর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন মোহাম্মদ ইমরান মিয়া (৩২) নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশি। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দেশটির এক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রাথমিক শুনানিকালে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি।
গত ২১ আগস্ট সহকর্মী সফিক আলমকে (৩২) হত্যা করেন মোহাম্মদ ইমরান মিয়া। হত্যার পরই পুলিশের হাতে আটক হন তিনি। শুক্রবার তাকে পেনাংয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। তার বিরুদ্ধে আনা খুনের অভিযোগটি ম্যাজিস্ট্রেট নুর ফাদ্রিনা জুলখাইরির আদালতে পড়ে শোনালে মোহাম্মদ ইমরান মিয়া তা স্বীকার করেন।
আদালত ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য আগামী ২৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন। ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর নুরুল আতিকাহ আশরাফ আলী প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। দোষী সাব্যস্ত হলে মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী ইমরান মিয়ার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
নিহত সফিক দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন। গত মাসে তিনি নতুন করে পেনাং এয়ারপোর্টের পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে কাজে যোগদান করেন। এখানে আগে থেকেই কাজ করতেন ইমরান মিয়া।
ঘটনার দিন সফিক ও ইমরান নাইট শিফটে কাজ করছিলেন। এদিন তারা রাতের খাবারের জন্য এয়ারপোর্ট থেকে বাসার দিকে রওয়ানা হন। এ সময় তাদের মধ্যে কোনো একটি বিষয় নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সফিকের পেট, হাত ও মুখের বিভিন্ন অংশে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন ইমরান।
নিহত সফিকের রুমমেট মোহাম্মদ সিরাজ জানান, এক পর্যায়ে সফিক মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ইমরান। গুরুতর আহত অবস্থায় সফিক ফোন দিয়ে তাকে বাঁচানোর আকুতি জানান সিরাজকে। দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হন সিরাজ।
সফিককে বাঁচাতে অ্যাম্বুলেন্সে ফোন করেন সিরাজ। কিন্তু প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পরও অ্যাম্বুলেন্স না আসায় মারা যান সফিক। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সফিকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। হত্যার দিনই ঘটনাস্থলের পাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইমরানকে আটক করা হয়।
সিলেট৭১নিউজ/টিআর