আন্তার্জাতিক ডেস্ক::বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা গাছটির নাম হাইপেরিয়ন। এটি ক্যালিফোর্নিয়ার রেডউড ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত। কিন্তু এ গাছ যদি কাউকে দেখতে দেওয়া না হয়, তাহলে এটাকে কি আর সবচেয়ে লম্বা গাছ হিসেবে মেনে নেওয়া যাবে?
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত গাছ হাইপেরিয়ন। কিন্তু এখন থেকে কেউ গাছটাকে দেখতে চাইলে তাকে পাঁচ হাজার ডলার জরিমানা ও ছয় মাস কারাভোগের ঝুঁকি নিয়ে দেখতে হবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার রেডউড ন্যাশনাল পার্ক দর্শনার্থীদের অনুরোধ জানিয়েছে গাছটির ত্রিসীমানা থেকে দূরে থাকতে। কারণ এ গাছের জনপ্রিয়তার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে পার্কটির ওই এলাকা।
হাইপেরিয়নের কাছে পৌঁছানোর জন্য নির্দিষ্ট কোনো পথ নেই। কিন্তু বছরের পর বছর বৃক্ষপ্রেমীরা নিজেদের মতো পথ করে নিয়েছেন গাছটি দেখার জন্য। ফলে পার্কের অন্যান্য জন্তু ও গাছপালার স্বাভাবিক আবাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওসব রাস্তায় পার্ককর্মীরা আবর্জনা ও মানববর্জ্যও খুঁজে পেয়েছেন। গত সপ্তাহে পার্ক কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে লিখেছে, ‘একজন দর্শনার্থী হিসেবে আপনি কি এই অনন্য প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের অংশীদার হবেন না ধ্বংসের সঙ্গী হবেন, সেটা নিজেই ঠিক করুন।’
কোস্ট রেডউড জাতের গাছ হাইপেরিয়ন। এটির উচ্চতা ৩৮০ ফুটেরও বেশি। স্ট্যাচু অভ লিবার্টির চেয়ে ১.২৫ গুণ বেশি উঁচু এ গাছটি।
২০০৬ সালে দুইজন গবেষক এ গাছটি খুঁজে বের করেন। বিশ্বের অনেকগুলো সুউচ্চ গাছ রয়েছে এ পার্কটিতে। এখানে থাকা হেলিওস ও ইকারুস নামক দুইটি গাছের উচ্চতা যথাক্রমে ৩৭৭ ফুট ও ৩৭১ ফুট।
দীর্ঘসময় ধরে বেঁচে থাকতে পারে রেডউড গাছ। ‘গাছ জন্মায় ইঞ্চি ইঞ্চি করে, কিন্তু মরে ফুটের (পা) ঘায়ে,’ নিজেদের বিবৃতিতে বলেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
সিলেট৭১নিউজ/এনপিআর/টিআর