সিলেট৭১নিউজ : প্রবাসীর টাকা আত্মসাত ও বাসার মালামাল চুরির ঘটনায় এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯। শনিবার (২ জুলাই) র্যাব সদস্যরা পলাতক আসামীকে আটক করেছে বিমানবন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
গ্রেপ্তার আসামীর নাম জামিল আহমদ (২৯)। তিনি গোটাটিকর এলাকার শাহনাজ বেগম রিনির ছেলে। মামলা নং ২৪/১৬৮ তারিখ ২৮ জুন ২০২২। একই মামলার অপর আসামী একই এলাকার আবদুল গনির ছেলে মোফাজ্জল আলী এখনও পলাতক রয়েছে। এয়াপোর্ট থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মঈনুল জাকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানাযায় নগরীর চৌকিদেখি ৫৩/১ রংধনু আবাসিক এলাকার মৃত আবদুর রহিমের ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী কয়েস আহমদ ২০০৭ সালে ৩১ মার্চ উল্লেখিত আসামী জামিল আহমদকে নিজ বাসার তত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। শর্ত অনুযায়ী কয়েস আহমদের অনুপস্থিতে জামিল আহমদ পাঁচতলা বিশিষ্ট ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ এবং সকল উন্নয়ংন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এরপর কয়েস আহমদ যুক্তরাজ্য চলে যান এবং বাসার সংস্কার কার্যক্রমসহ ভবনের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ফের দেশে চলে আসেন।
এ সময় কয়েস আহমদ একই বছরের ২৫ মার্চ রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য নগদে ১০ লক্ষ টাকা জামিল আহমদের হাতে তুলে দেন। এর ৫ দিন পর কয়েস আহমদ যুক্তরাজ্য চলে যান এবং কেয়ারটেকার জামিল আহমদের কথা অনুযায়ী ভবনের কাজে আরও কয়েক লাখ টাকা প্রেরণ করেন।
কিন্তু ২০২০ সালের ১০ জুন তিনি দেশে এসে দেখেন ভবনের কোনো কাজই হয় নি উপরন্তু বাসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন দামি দামি আসবাব পত্র, টিলিভিশন, মাইক্রোওভেনসহ আরও মূল্যবান অনেক জিনিস উধাও। একই সাথে বাসার মূল্যবান দলিলপত্রও তিনি বাসায় খোঁজে পান নি।
এ ঘটনার পর তিনি জামিল আহমদের সাথে একাধিকার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও জামিল আহমদ যোগাযোগ করা থেকে বিরত থাকে। এমনকি তার সাথে কোনো যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকী প্রদর্শন করে। যুক্তরাজ্য প্রবাসী কয়েস আহমদ এ ঘটনায় হতবাক ও ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে নগদ টাকা উদ্ধার ও বাড়ির আসবাবপত্রসহ দলিলাদি উদ্ধারের জন্য সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় চলতি বছরের ২৮ জুন একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
সিলেট৭১নিউজ/টিআর