সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: আসন্ন ঈদ উল আজহা উপলক্ষে তৃতীয় দিনের মতো কমলাপুর রেল স্টেশনে চলছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। টিকিট পেতে তাই মধ্যরাত থেকে লাইন ধরে স্টেশনে অবস্থান করছেন যাত্রীরা। কয়েক মিনিট পরপর একেকজন টিকিট হাতে কাউন্টারের সামনে থেকে বেরিয়ে আসলেও যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘ অপেক্ষার পরও কাউন্টারগুলোতে টিকিট বিক্রিতে ধীরগতি রয়েছে।
রোববার (৩ জুলাই) কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ঈদ উল আজহা উপলক্ষে ৭ জুলাইয়ের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়।
কমলাপুর রেলস্টেশন দেখা যায়, কয়েক হাজার মানুষ তৃতীয় দিনের মতো ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। কয়েক মিনিট পরপর একেকজন টিকিট হাতে কাউন্টারের সামনে থেকে বেরিয়ে আসলেও তাদের অভিযোগ, গত দুই দিনেও অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেননি তারা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর কাউন্টার থেকে টিকিট নিতে পারলেও তাতেও লেগছে বেশ খানিকটা সময়।
এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি’ সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ঢাকার ৬টি স্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৭১১টি। অন্যদিকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি হয়েছে ১০ হাজার ৫৭৯টি। এই টিকিট বিক্রির সংখ্যা থেকেও অনেকটা বোঝা যাচ্ছে, কাউন্টারে আসলেই কিছুটা ধীরগতি রয়েছে।
টিকিট প্রত্যাশীদের লাইনে যারা সামনের দিকে আছেন, তাদের অধিকাংশই শনিবার থেকে লাইনে অবস্থান করছেন। এছাড়া যারা আজকে ভোরে এসেছেন, তাদের অবস্থান লাইনের পেছনের দিকে। আর পেছনে থাকা অধিকাংশ যাত্রীই মনে করছেন, তারা আজ কাঙ্খিত দিনের টিকিট নাও পেতে পারেন।
টিকিট পেতে দেরি হওয়া প্রসঙ্গে টিকিট প্রাপ্ত এক যাত্রী বলেন, প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর কাউন্টার সামনে এসেছি। টিকিট নিতে সময় লেগেছে ৫ মিনিটের মতো। সব টিকিট প্রাপ্তদের ক্ষেত্রেই একই ঘটনা ঘটছে। এতে করে লাইনে যেমন মানুষের অপেক্ষা করতে হচ্ছে, তেমনি অপেক্ষার সময় দীর্ঘ থেকে আরও দীর্ঘ হচ্ছে।
বগুড়ার টিকিট পাওয়া যাত্রী বলেন, শনিবার সকালে থেকে অনলাইনে চেষ্টা করেও কোনো টিকিট পাইনি। পরে রাত ২টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে এসেছি। এখানে এসেও অনলাইনে চেষ্টা করেছি, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। যদি অনলাইনের টিকিট ব্যবস্থা ভালো করা যেত, মানুষের এতো ভোগান্তি হতো না। অনলাইনে টিকিট না পাওয়ার কারণেই দীর্ঘ সময় লাইনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষজনকে। তারপরও অবশেষে টিকিট পেয়েছি, এতে খুশি।
টিকিট পেতে যাত্রীদের দেরি হওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘প্রতি যাত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে, তার নম্বর উঠিয়ে তারপর টিকিট ইস্যু করতে হয়। এজন্য সময় একটু বেশি লাগে। কালোবাজারি ঠেকাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সহজের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহাত আহমেদ বলেন, সকাল থেকে সবাই একসঙ্গে অনলাইনের সাইটে হিট করেন বলে টিকিট পেতে একটু ধীরগতি হয়। ডেভেলপমেন্টের কাজ চলছে, আশা করছি দ্রুতই এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান