সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: বর্ণাঢ্য আয়োজনে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর র্যালি হয়েছে। বুধবার (১৫ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ভবন থেকে বিজ্ঞান জাদুঘর পর্যন্ত এ র্যালি হয়। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম র্যালিতে নেতৃত্বে দেন।
র্যালিতে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম, জনশুমারি প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেনসহ বিবিএস এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিবিএস জানায়, বিবিএস এর আওতায় জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর মূল তথ্যসংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধনী র্যালি হয়েছে। র্যালিটি ১৫ জুন সকাল সাড়ে ১১টায় বিবিএস ভবন থেকে শুরু হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম নেতৃত্ব দেন। এছাড়া পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), বিবিএস, মো. দিলদার হোসেন, প্রকল্প পরিচালক (জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্প) র্যালিতে অংশ নেন।
এছাড়া, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, অধিদপ্তর, সংস্থার কর্মকর্তা, বাংলাদেশ স্কাউটস, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি), গার্লস গাইড এর সদস্যরা র্যালিতে অংশ নেন। র্যালিটি পরিসংখ্যান ভবন হতে শুরু হয়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সামনে পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।
উল্লেখ্য, তথ্য সংগ্রহের শুরুর দিনে ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে একযোগে বিভাগ পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে এবং জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিবিএস জানায়, প্রকল্পের আওতায় ১৫-২১ জুন ২০২২ দেশব্যাপী দেশের প্রতিটি খানার তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। গণনাকারীরা দেশের প্রতিটি খানায় গিয়ে ট্যাবলেটের মাধ্যমে কম্পিউটার এসিস্টেট পার্সোনাল ইন্টারভিউইং (কাপি) পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করছেন। মঙ্গলবার রাত শুন্য সময় থেকে দেশের প্রায় ২০ হাজার স্পট থেকে ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষ গণনার মাধ্যমে শুরু হয়েছে ষষ্ঠ জনশুমারি।
প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন জানান, বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ভাসমান মানুষ গণনা করা হয়েছে। এরপর সকাল ৮টা থেকে শুমারির মূল কাজ শুরু হয়েছে যা ২১ জুন শেষ হবে সারাদেশে একযোগে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন গণনাকারী ট্যাবের সাহায্যে সাতদিন ধরে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে এই শুমারি পরিচালনা করবেন। ৬৩ হাজার ৫৪৮জন সুপারভাইজার, ৩ হাজার ৭৭৯ জন আইটি সুপারভাইজার, ৩ হাজার ৭৭৯ জন জোনাল অফিসার, ১৬৩ জন জেলা শুমারি সমন্বয়কারী এবং ১২জন বিভাগীয় শুমারি সমন্বয়কারীর মাধ্যমে এই ডিজিটাল শুমারি সম্পন্ন করা হচ্ছে।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান