সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: ৮৫ বছর বয়সী মাকে গোয়ালঘরে রাখার অভিযোগে দুই ছেলে ও এক পুত্রবধূকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (১৩ জুন) বিকালে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম ইউনিয়নের মধ্য চারিগ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর আয়েশা বেগম নামে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে থানায় নেয়।
গ্রেফকারকৃতরা হলো—আয়েশা বেগমের বড় ছেলে ছেলে কলম মিয়া (৫১), মেজো ছেলে মোস্তফা ওরফে মস্তা (৪৫) এবং আরেক ছেলে চানু মিয়ার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৩২)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আয়েশা বেগম দীর্ঘদিন ধরে অসুখে ভুগছেন। তিন ছেলের আর্থিক অবস্থা ভালো হলেও কেউ তার দেখভাল করে না। ছয় মাস আগে বড় ছেলে কলম মিয়া দেখভালের দায়িত্ব নেয়। কিন্তু কিছু দিন ঘরে রাখার পর গোয়ালঘরে রেখে আসে। তার স্ত্রী বিদেশ থেকে ফিরে ঘরে তোলার পর আয়েশা বেগমের ওপর অত্যাচার শুরু করে। সেই সঙ্গে চানু বিদেশ যাওয়ার পর তার স্ত্রীও মারধর করতে থাকে। তারা কেউ খাবারও দেয় না ঠিকমতো। সাত দিন আগে আয়েশা বেগমকে গোয়ালঘরে রেখে আসে মেজো ছেলে মোস্তফা। সম্প্রতি প্রতিবেশী কয়েকজন নারী তাকে দেখতে যান। এ সময় তাদের কাছে খাবার চান বৃদ্ধা। দোকান থেকে রুটি এনে খাওয়াতে গেলে দুই ছেলে ও পুত্রবধূ তাদের সঙ্গে ঝগড়া করেন।
এ ঘটনা জানাজানি হলে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা তাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠান। এরপর কলম, মোস্তফা ও চানুর স্ত্রী মর্জিনাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। আরেক ছেলের স্ত্রী বিলকিস আক্তারকে আয়েশা বেগমের দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছে।
ওসি সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, ‘বৃদ্ধা মাকে অবহেলা করায় দুই ছেলে ও এক পুত্রবধূকে আটক করা হয়। সেই সঙ্গে উদ্ধার করে থানায় আনা হলে বৃদ্ধা লিখিত অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চার জনের বিরুদ্ধে পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন-২০১৩ অনুযায়ী থানায় মামলা হয়েছে। পরে তিন জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।’
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান