বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি;: সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভার নির্বাচন বুধবার (১৫ জুন)। চলছে শেষ মুহূর্তের হিসেব নিকেষ। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ১০ জন মেয়র প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, বিয়ানীবাজার পৌরসভার ২৭ হাজার ৭৯৩ জন ভোটার প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট দেবেন। মেয়র পদে প্রার্থী ১০ জন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুস শুকুর (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আহবাবুর রহমান সাজু (কম্পিউটার) প্রতীক, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুকুল হক (চামচ) ও আব্দুল কুদ্দুছ টিটু (হেলমেট), স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রভাষক আব্দুস সামাদ আজাদ (হ্যাঙ্গার), মোহাম্মদ অজি উদ্দিন (নারিকেল গাছ) মোহাম্মদ আব্দুস সবুর (মোবাইল ফোন), সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন (জগ), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. সুনাম উদ্দিন (লাঙল) এবং বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আবুল কাশেম (কাস্তে)। এছাড়া কাউন্সিলর সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আব্দুস শুকুর বলেন, ‘আমি গত পাঁচ বছরে পৌরসভার যে উন্নয়ন করেছি, পৌরবাসী তার মূলায়ন করবে। নৌকা প্রতীক হচ্ছে উন্নয়নের প্রতীক- বিয়ানীবাজারের জনগণ তা জানে। তাই এবারের নির্বাচনেও তারা ভুল করবেন না।’
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুকুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও গত পাঁচ বছরে বিয়ানীবাজারে তেমন উন্নয়ন হয়নি। মেয়রের কর্মকাণ্ডে কোনো জবাবদিহিতা ছিল না। ফলে মানুষ তার ওপর ক্ষুব্ধ। মানুষের ক্ষোভ আঁচ করতে পেরেই আমি প্রার্থী হয়েছি।’
বিয়ানীবাজার পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা করণীয় তাই করা হয়েছে। এ পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আজ বিকেলের মধ্যে সবকটা কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন পৌঁছে যাবে।
সিলেটের পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, পুলিশ সতর্ক রয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ বেশ ভালো।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান