বড়লেখা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা শহরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ৫ই জানুয়ারি বিএনপি আহুত গনতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ ককর্মসূচী চলাকালে এ ঘটনাটি ঘটে। ৫ ই জানুয়ারি সকাল ১১ টায় উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফয়সল আহমেদের নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রদল ডাকবাংলো এর সামনে থেকে মিছিল নিয়ে পিসি স্কুল এর সামনে যেতেই মিছিলটিতে ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগ বাধা দিলে সংঘর্ষের সুত্রাপাত হয়। ছাত্রদলকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ মিছিলে লাঠিপেটা করে। এক সময় পুলিশ গুলিতে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য জালাল আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়াও হতাহত হয় আরো ১২জন।গুলিবিদ্ধ জালাল আহমদ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। এই ঘটনার পর থেকে বড়লেখা উপজেলা শহরে ১৪৪ ধারা জারি আছে।
এদিকে সন্ধায় উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুন্দর বাদি হয়ে নিহত জালালকে তার দলের কর্মী দাবি করে ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন আব্দুল কাদির পলাশ, জুয়েল আহমেদ, কাওসার আহমেদ, সাইফুল ইসলাম,
নাদের আহমেদ, কামাল হোসেন, তানিম আহমেদ, জুয়েল হাসান, জাহাঙ্গীর আলম, ফাহিম আহমেদ, জুনেদ আহমেদ।
বড়লেখা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অসিত দাশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখন পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। মামলার আসামীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে তিনি জানান।
মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম সুন্দরের সাথে কথা বলতে তার ব্যক্তিগত নাম্বারে কল দেওয়া হলে তিনি মিডিয়ার সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। যদিও বিএনপি
উপজেলা সভাপতি আব্দুল হাফিজ এই মামলা উদ্যেশ্যমূলক দাবী করে বলেন, তার দলের কর্মীকে হত্যা করে আবার তার নেতাকর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে।