সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: ঝালকাঠির নলছিটিতে শালিস বৈঠকে দুই নারীসহ চারজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলার মগড় ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সেলিম হাওলাদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন নির্যাতিতরা।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য। তার হাত থেকে জীবন বাঁচানোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই পরিবার।
শনিবার সকাল ১১টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন খাওক্ষির গ্রামের নির্যাতিত গৃহবধূ জেসমিন বেগম। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেসমিন বেগমের স্বামী আব্দুল হক সিকদার।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, আব্দুস ছালাম সিকদারের সাথে ৪৫ শতাংশ জমি নিয়ে তার আপন ভাই মাহিন্দ্রা গাড়িচালক আব্দুল হক সিকদার ও মো: জলিল সিকদারের সাথে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় মগড় ইউপি চেয়ারম্যান গত ৬ জুন তাদের শালিস মিমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকেন। দুই পক্ষ ইউনিয়ন পরিষদে আসলে শালিস বৈঠক শুরুর আগেই আব্দুস ছালামের পক্ষ হয়ে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম হাওলাদার ও তার লোকজন আব্দুল হক সিকদার ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এ সময় লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এবং পদদলিত করে দুই নারীসহ চারজনকে আহত করে তারা।
গুরুতর আহত জেসমিন বেগম ও শাহীনুর বেগমকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আরো আহত হন জেসমিনের স্বামী আব্দুল হক সিকদার ও ছেলে বরিশাল সরকারি পলিটেকনিকের ছাত্র তামিম সিকদার।
ঘটনার পর জেমসিনের স্বামী আব্দুল হক সিকদার গত ৮ জুন ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন ইউপি সদস্য সেলিম হাওলাদার। মামলা তুলে নিতে চাপও দেয়া হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। তাদের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নির্যাতিতরা।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য সেলিম হাওলাদার জানান, দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে নিজেরাই মারামারি করেছে। আমি তাদের উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিয়েছি।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান