সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: গত শনিবার গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে সীতাকুণ্ডের বিএন কনটেইনার ডিপোতে যান মাঈনুদ্দিন ও তার চাচা আবু তাহের মণ্ডল। সন্ধ্যার দিকে তাহের ভাতিজা মাঈনুদ্দিনকে ডিপোতে রেখে বাসায় চলে আসেন। রাত ১০টার দিকে শুনতে পান ডিপোতে আগুন লেগেছে। এর পরপরই মাঈনুদ্দিনের সঙ্গে একবার ফোনে কথা হয় তার। কিন্তু বিস্ফোরণের পর থেকেই মাঈনুদ্দিনকে আর পাচ্ছেন না তার স্বজনরা। এখন ছবি হাতে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যালের সামনে ভাতিজা মাঈনুদ্দিনকে খুঁজে ফিরছেন চাচা তাহের মণ্ডল।
বুধবার (৮ জুন) চট্টগ্রাম মেডিক্যালের জরুরি বিভাগের সামনে আবু তাহের মণ্ডলের সঙ্গে কথা হয় রাইজিংবিডির প্রতিবেদকের।
কান্না জড়িত কণ্ঠে তাহের মণ্ডল বলেন, ‘সুস্থ সবল ভাতিজাকে গাড়িতে রেখে আমি বাসায় ফিরেছিলাম। কিন্তু আগুন আর বিস্ফোরণের পর আমাদের গাড়িটি পুড়ে গেছে। এখন পর্যন্ত আমার ভাতিজা মাঈনুদ্দিনকে খুঁজে পাইনি। গত ৩দিন ধরে বিএম ডিপো এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যালে ভাতিজাকে খুঁজে ফিরছি। কিন্তু কোথায় তার লাশটিও পাচ্ছি না।’
তাহের মণ্ডল বলেন, ‘যদি মাঈনুদ্দিনের লাশটি পাওয়া যেতে তাহলে মনকে শান্তনা দিতে পারতাম।’
মর্গে থাকা লাশ শনাক্তে সিআইডি’র ফরেনসিক টিমকে ডিএনএ নমুনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তাহের বলেন, ‘সিআইডি বলেছে ডিএনএ’র ফলাফল আসতে একমাস সময় লাগবে। এই অবস্থায় আমাদের হাহাকর করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।’
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত ৯টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। ঘণ্টা দুই পর রাসায়নিক থাকা কয়েকটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে দুই শতাধিক মানুষ আহত হন। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফায়ার ফাইটারসহ ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান