সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে গত রাতে আগুনের ঘটনা ফেসবুক লাইভে প্রচার করছিলেন অলিউর রহমান। ৪০ মিনিট অবধি চলে তার সে লাইভ। এরপরই ঘটে ভয়াবহ এক বিস্ফোরণ। সে বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে উড়ে যান অলিউর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
নিহত অলিউর রহমান মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলী গ্রামের আশিক মিয়ার ছেলে। তিনি ওই ডিপোতে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তখন ফেসবুকে ঘটনার লাইভ সম্প্রচার করতে থাকেন অলিউর রহমান। আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে কাজ শুরু করে।
সেই লাইভে দেখা যায়, ৪০ মিনিট অবধি আগুন নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু ৪১ মিনিটে ঘটে যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিকট শব্দে সেই বিস্ফোরণে উড়ে যান অলিউর। তখনও লাইভ চলছিল। আশপাশের মানুষকে তখন ‘ইয়া আল্লাহ, আল্লাহ বাঁচাও’ বলতে শুনা যায়।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ওই বিস্ফোরণের পর অলিউর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, বিস্ফোরণের পরপরই পার্কভিউ হাসপাতালে ৩০ জনকে নিয়ে আসা হয়। ১৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়, ১৪ জনকে ভর্তি করানো হয়। একজনকে আনা হয় মৃত অবস্থায়। তাঁর পুরো শরীর ঝলসে গেছে। তিনি ফেসবুকে লাইভে ছিলেন।
ডিপোতে অলিউর রহমানের সহকর্মী ছিলেন রুয়েল মিয়া নামের একজন। তিনি বলেন, ‘আগুন লাগার পর আমরা অনেকে চলে আসি। কিন্তু অলিউর রহমান ফেসবুকে লাইভের জন্য থেকে যান। বিস্ফোরণে তিনি উড়ে যান। সেখানে ১০-১৫ জন ছিলেন।’
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান