জকিগঞ্জ প্রতিনিধি;: সিলেটের জকিগঞ্জ সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগত যুবক প্রবেশ করে দ্বাদ্বশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করিয়ে পালিয়েছে।
ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক পৌর বিএনপির সভাপতি মাসুক আহমদের ছেলে নাঈফ আহমদ (২৩)। ঘটনাটি সোমবার দুপুরের দিকে জকিগঞ্জ সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে ঘটেছে।
এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কলেজ ক্যাম্পাস। ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। হামলাকারী যুবক নাঈফ আহমদকে গ্রেফতারে কর্মসূচি পালন করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরের দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে আব্দুর রশিদ নামের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে বহিরাগত যুবক নাঈফ আহমদ। এ নিয়ে চরম উত্তেজনা ছড়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে। ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অভিভাবকরাও। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও হামলাকারীকে দ্রুত গ্রেফতার দাবিতে মঙ্গলবার ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও শহরে বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল করেছেন।
মানবন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল শেষে পথসভায় শিক্ষার্থীরা হামলাকারীকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীর উপর হামলায় জড়িত বহিরাগত নাঈফ আহমদসহ সহযোগীদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। হামলাকারীদের গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত কলেজ ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। হামলাকারী নাঈফের বড় ভাই কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমদও ঘটনায় জড়িত বলে দাবী করেন বিক্ষোব্ধ শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান, শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন, জামিল আহমদ, দিদারুল ইসলাম, জুয়েল আহমদ, রুমেল আহমদ প্রমুখ।
এদিকে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় পৌর বিএনপির সভাপতি মাসুক আহমদের ছেলে নাঈফ আহমদ ও তার অপর ভাই কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমদসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে জকিগঞ্জ থানায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে মিছিলসহকারে অভিযোগ দায়ের করেছে শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জকিগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবু তাহের এ প্রসঙ্গে বলেন, ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার কর্মসূচি পালন করেছেন। কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জকিগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত সুমন চন্দ্র সরকার এ প্রসঙ্গে জানান, সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। জড়িত কাউকে এখনো আটক করা হয়নি।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান