সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: একজন পুরুষকে “ন্যাড়া বা টাক” বলা যৌন হয়রানি হিসেবে বিবেচিত হবে বলে রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একটি কর্মসংস্থান ট্রাইব্যুনাল। সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের তিনজন সদস্য তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতার ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, “নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে টাক হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তাই তাদেরকে ‘টাক’ বলে কটূক্তি করা যৌন হয়রানি হিসেবে বিবেচিত হবে।” তারা যুক্তি দিয়ে বলেন, “টাক শব্দের ব্যবহার লিঙ্গের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি অপমান।”
ট্রাইব্যুনাল ১৯৯৫ সালের একটি মামলার উল্লেখ করে, নারীর স্তনের আকার সম্পর্কে মন্তব্য করার সঙ্গে একজন পুরুষকে টাক বলার তুলনা করেন তারা।
চলতি মাসের ১৩ তারিখে দেয়া মামলার রায়ে বলা হয়, বৃটিশ বাং কোম্পানির ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করার সময় টনি ফিনকে “টাক” বলে অপমান করা হয়। ফিন প্রায় ২৪ বছর ধরে ইংল্যান্ডের উত্তর-পূর্বে ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারে ব্রিউইং শিল্পের জন্য ঐতিহ্যবাহী কাঠের পিপা বন্ধের প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে কাজ করেছেন।
ফিনের দাবি, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে এক বিবাদের সময় তার শিফট সুপারভাইজার জেমি কিং তাকে “টাক” বলে অপমান করেছিল। এবং মামলা করায় ফিনকে গত বছরই বরখাস্ত করে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।
আদালত বলেছেন, এখানে ফিনের মর্যাদা লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং এটি দাবিদারের যৌনতার সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই, ট্রাইব্যুনালের রায়ে ফিনকে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হতে পারে, যদিও পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান