উপজেলা সংবাদদাতা::
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার ৪নং উত্তর শাহবাজপুর বাজারে ছাত্রলীগের চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী ও ছাত্রলীগের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ৫ই জুন দুপুরে ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, ইউপি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করলে ঘটনাটির সুত্রাপাত ঘটে। ৫জুন দূপুরে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গণহারে চাঁদা তুলতে বাধ্য করলে প্রথমে ব্যবসায়ীরা আপত্তি জানায়। উত্তেজিত ছাত্রলীগ কর্মীরা ব্যবসায়ীদের উপর হাত তুললে সংঘবদ্ধ হয়ে ব্যবসায়ীরা প্রতিরোধ চেষ্টা চালায়। দুই ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত দোকানপাট ভাঙ্গচুরের খবর পাওয়া যায়। ব্যবসায়ীদের দাবী অনুযায়ী ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ২০ লক্ষটাকা। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০জন লোক আহত হয়। আহতদের বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১জনের অবস্থা আশংকাজনক হলে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরন করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। নিহত ব্যক্তির নাম আরিফ আহমেদ (২০)। সে ইউনিয়নের সায়পুর গ্রামের রফিক উদ্দিনের ছেলে এবং ছাত্রলীগ কর্মী। গতকাল রাতেই তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনায় আজ (৬জুন) বড়লেখা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের পিতা রফিক উদ্দিন বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ২২/৮৮। মামলার আসামীরা হলেন, মুমিনুর রহমান টনি(৪৪), শামীম আহমেদ(৩০), আলী হোসেন(২০), কামরুল হাসান(১৯), রাজু আহমেদ(২৯), তারেক আহমেদ(২৬), তুহিন আহমেদ(২২), শাহিন আহমদ(২৫), সিরাজউদ্দিন(৩২), মখলিস উদ্দিন(৩১), নুরুল ইসলাম(৩৩), মো আব্দুল ওয়াদুদ(৩৯), আব্দুস সাত্তার(৩৪), কামরুল ইসলাম (২৯), জিয়াউদ্দিন(২৭)
বড়লেখা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সহিদুর রহমান মামলার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, এখন পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে অনতিবিলম্বে মামলার আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এদিকে বাজার বনিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান বাবুলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি পুরো ঘটনার জন্য সরকারীদলীয় সন্ত্রাসীদের দায়ী করে বলেন, উভয়পক্ষের মারামারিতে আরিফ মারা গেছেন। তার ব্যবসায়ীদের অনেকে গুরুতর আহত।
নিহত আরিফের বাবার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হোন নি।