সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: খুলনার চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র ফাহমিদ তানভীর রাজিন (১৩) হত্যা মামলায় ১৭ আসামির প্রত্যেককে সাত বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্কদের কারাগারে এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২৩ মে) দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস সালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ১৭ আসামির সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে সাব্বির হাওলাদার (২০), বিএম মাজিব হাসান রয়েল (১৬), শাহারিয়ার জামান তুর্য্য (২১), রিয়ান শেখ ওরফে রেফাত (১৬), ফাহিম ইসলাম মনি (১৮), সানি ইসলাম ওরফে আপন (১৭), জিসান খান (১৯), তারিন হাসান ওরফে রিজভী (১৭), শাকিব খান শিমুল (২১), অন্তর কুসার দাস (১৯), মো. হাকিম (২১), সৈকত (২০), শেখ সাকিব (২১), আসিফ প্রান্ত আলিফ (১৯), শেখ তামিম (২০), সাকরান সালেহ ওরফে মিতুল (১৬) ও মোস্তফিজুর রহমান নাঈম (১৮)।
এজহার সূত্রে জানা গেছে, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ স্কুলের একজন ছাত্রীকে বয়রা এলাকার কিছু বখাটে প্রায় উত্ত্যক্ত করত। ঘটনাটি জানতে পেরে নিহত ফাহমিদ তানভীর রাজিন প্রতিবাদ করেন। এ কারণে তাকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য বখাটেরা পরিকল্পনা করতে থাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি রাতে রাজিনকে ছুরি মেরে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার একদিন পরে নিহতের বাবা ৬ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা আরো ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওইদিন রাতে পুলিশ এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের গ্রেপ্তার করে। তাদের ৫জন আদালতে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
পরে এজাহারভুক্ত আসামি তামিমের স্বীকারোক্তি মোতাবেক রূপসা উপজেলার আইচগাতি থেকে গ্রেপ্তার করা মো. মঞ্জুরুল ইসলাম সাব্বির হাওলাদারকে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় হত্যাকণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি।
চার্জশিটে বর্ণিত সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজিন পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। মুজগুন্নী এলাকার মো. ফারুখ হোসেনের ছেলে মো. ফাহিম ইসলামের সঙ্গে ইভটিজিং এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধ ছিল রাজিনের। পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে সবার জন্য পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ক্যাম্পাস উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ওইদিন রাতে ফাহিম তার বন্ধুদের নিয়ে অনুষ্ঠানে যায় এবং রাজিনকে হত্যা করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালিশপুর থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান একই বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে এর মধ্যে নাজিম উল্লাহ ওরফে ফয়সাল প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে তার বিচার চলছে।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান