সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: প্রায় এক সপ্তাহ পর অবশেষে স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি। বৃষ্টির বেগ এবং উজানের ঢলের তোড় কমে আসায় পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। কমছে নদ-নদীর পানি। প্লাবিত অঞ্চলগুলো থেকে পানি নামছে ধীরে ধীরে। এতে স্বস্তি বাড়ছে জনমনে। তবে পানি পুরোপুরি নেমে যেতে চার থেকে পাঁচদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিলেট আবহাওয়া অফিস ও সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্র জানায়, সিলেটে গতকাল সন্ধ্যা থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। আজও পানি কমা অব্যাহত আছে।
বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির পেছনে বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসাকেই মুখ্য কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। সিলেটে গতকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমে এসেছে। বৃষ্টির হার কমেছে সিলেটের উজানের ভারতের মেঘালয়, আসাম প্রভৃতি সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোতেও।
যেমনটি বলছিলেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা, ‘সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় ১৩ সেন্টিমিটার কমেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির পরিমাণ কমে এসেছে। কয়েকদিন ধরে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে আড়াইশ থেকে তিনশ মিলিমিটার বৃষ্টি হচ্ছিল, সেখানে গতকাল হয়েছে মাত্র ২৫ মিলিমিটার।’
বন্যার পানি কমতে থাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়া মানুষেরা স্বস্তি প্রকাশ করছেন।
নগরীর উপশহরের বাসিন্দা সাদিন খান সিলেট৭১নিউজকে বলেন, ‘শুক্রবার থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরছে।’
তবে পানি পুরোপুরি নেমে যেতে আরো পাঁচদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীর (পুর) দপ্তরের সিলেটের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পুর) এস এম শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বন্যার পানি কমছে। ফলে সিলেটে আর বন্যা পরিস্থিতি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় আরও পাঁচদিন পানিবন্দি থাকতে হবে সিলেটবাসীকে।’
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলেও এখনও সুপেয় পানির সংকট রয়েছে সিলেট নগরীতে। বন্যায় নগরীর মেন্দিবাগস্থ সিটি করপোরেশনের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি তলিয়ে যায়। এ ছাড়া পানির নিচে চলে যায় চারটি পাম্পও। ফলে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট প্রকট হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (পানি) আবদুস সোবহান বলেন, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে ময়লা পানি প্রবেশ করায় সেটি চালু করা যাচ্ছে না। সিটি করপোরেশনের পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা পাম্পগুলোও পানির নিচে। চারটি পাম্পই বন্ধ রয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে পাম্পগুলো দ্রুত সচল করা হবে।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান