সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: ভোলার লালমোহনে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বামী-স্ত্রী ও ভাইসহ একই পরিবারের তিনজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিন তাদের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
তারা হলেন- কালমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী মো. আকতার হোসেন, তার স্ত্রী রেহানা বেগম লাইজু ও আকতার হোসেনের ভাই মো. ইকবাল হোসেন।
একই পরিবারের তিনজনের প্রার্থী হওয়া নিয়ে কালমা ইউপিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তারা কি সত্যিই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নাকি আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আকতার হোসেনের সাপোর্ট হিসেবে কাজ করবেন- এ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে ইউনিয়নের সাধারণ জনগণসহ সচেতন মহলের।
এ ব্যাপারে কালমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মনোনীত দলীয় প্রার্থী আকতার হোসেন বলেন, যে যার মতো মনোনয়ন দাখিল করেছে। বাকিটা দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে তারা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকবে কিনা।
এছাড়াও কালমা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মো. জাকির হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের লোকমান হোসেন ও জাতীয় পার্টির সিরাজুল ইসলাম। রমাগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী গোলাম মোস্তফার সঙ্গে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়বেন অধ্যক্ষ জামাল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন রাব্বী, মোসলেহ উদ্দিন লিটন, সফিউল আলম প্রিন্স ও ইসলামী যুব আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা ইমাম উদ্দিন শামিম।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দুই ইউনিয়নে ১২ জন চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ৯৬ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য ২২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যার মধ্যে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের দিন কালমা ইউনিয়নের ৩ জন ও রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ১ জন সাধারণ সদস্যের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আমির খসরু গাজী বলেন, কালমা ইউনিয়নে একই পরিবারের তিনজন মনোনয়ন দাখিল করেছেন এবং তাদের মনোনয়ন বৈধও হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তাদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান