কানাইঘাট প্রতিনিধি;: টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে কানাইঘাট উপজেলার বির্স্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।বিভিন্ন স্থানে সুরমা নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে।অনেক এলাকায় নদীর তীর উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকছে।ঢলের পানিতে ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে গ্রামীন রাস্তাঘাট।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে লোভা-সুরমা নদীর পানি বাড়তে থাকে। সুরমা নদীর প্রবল ঢলে উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের কুওরঘড়ি সুরমা ডাইকে ভয়াবহ ভাঙনসহ সুরমা ডাইকের বিভিন্ন এলাকার উপর দিয়ে বানের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এতে উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম, বড়চতুল, লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব, সাতবাঁক, কানাইঘাট সদর, দিঘীরপাড় পূর্ব ও দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা, রাস্তা-ঘাট পানির নিচে তলিয়ে যায়। পানিবন্দি হয়ে পড়ে হাজার হাজার বাড়ি ঘরে।পানির নিচে তলিয়ে গেছে কানাইঘাট বাজার।বাজারের অধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে মালামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কানাইঘাট-চতুল-দরবস্ত সড়ক, কানাইঘাট-গাছবাড়ী গাজী বোরহান উদ্দিন সড়ক, কানাইঘাট-সুরইঘাট সড়ক ও কানাইঘাট-শাহবাগ-জকিগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সিলেট শহরের সাথে সব ধরনের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। কানাইঘাট সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ১৪২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমন ধানের বীজতলা বিনষ্ট হয়েছে। তলিয়ে গেছে অসংখ্য মৎস্য খামার, ফিশারি-পুকুর।
কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কুওরঘড়ি সুরমা ডাইকের ভাঙনরোধে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সরকারিভাবে বন্যা কবলিত এলাকার জন্য ১৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। রোববার থেকে তা বিতরণ করা হবে।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান