সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র। টানা চারদিন ধরে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। রাস্তাঘাটে চলতে যেমন পথচারীদের অসুবিধা হচ্ছে তেমনি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও। পদে পদে বাধার মুখে পড়ছেন সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষেরা। চলমান অবস্থা আরও সপ্তাহখানেক থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় অশনির কারণে বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। আগামী ১৮-১৯ মে পর্যন্ত এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। শুক্রবার সারাদিন ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং রাতের দিক তুলনামূলক কম বৃষ্টি হবে। আবার শনিবার দিনে হালকা ও রাতে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। রোববার থেকে আবার থেকে হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হবে।
এদিকে বৃষ্টিপাতের কারণে চরম বিপাকে সাধারণ মানুষ। বন্দরবাজারে ভাসমান সবজি বিক্রেতা আব্দুল্লাহ জানান, এই বৃষ্টি আমাদের জন্য কাল হয়ে এসেছে। বিশ্বনাথ থেকে এখানে এসে ব্যবসা করি। প্রতিদিনের সবজি প্রতিদিন বাধ্যতামূলক বিক্রয় করে যেতে হয়, নইলে পচে যায়। কিন্তু কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ক্রেতা সমাগম একেবারেই নাই। দাম দিয়ে সবজি কিনে প্রতিদিন রাতে এসে কমদামে বিক্রয় করে যাচ্ছি। প্রতিদিনই লস গুণতে হচ্ছে আমাকে। এভাবে চলতে থাকলে ভিটেমাটি বিক্রি করে খেতে হবে।
জিন্দাবাজারে পড়শী অপটিকসের স্বত্বাধিকারী ইন্দ্রজিৎ দাস জানান, জিন্দাবাজার সিলেটের প্রাণ। এখানে দেশের সকল প্রান্তের লোকজন দেখা যায়। পর্যটক হোক বা স্থানীয় সবার আনাগোনায় মুখরিত এই এলাকায় কমবেশি ভালই ব্যবসা হয়! কিন্তু কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ব্যবসা একেবারে নেই বললেই চলে। একেতো ঈদের শেষ সময় অন্যদিকে বৃষ্টি, সব মিলিয়ে একটা হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি আমরা।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে হঠাৎ পরিবর্তন এসেছে তাপমাত্রায়। কয়েকদিন আগের অত্যধিক গরম আর এখনের বৃষ্টিজনিত ঠান্ডার কারণে বাড়ছে জ্বর-সর্দিসহ সাধারণ অসুখ-বিসুখ। নাপা, প্যারাসিটামল বা হিস্টাসিন জাতীয় ঔষধ কিনতে মানুষ ভির জমাচ্ছে পাড়া-মহল্লা বা আশপাশের ফার্মেসীতে।
বুধবার (১২ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকায় মাইক্রো-ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ফার্মেসীতে ঘন্টাখানেকের মধ্যে প্রায় ৮-১০ জন ক্রেতা আসতে দেখা যায়। তারা সবাই জ্বর, সর্দি, কাশির ঔষধ নিয়ে যান।
ফার্মেসীর পরিচালক মিশন দাস জানান, আজ দুদিন ধরে ঠান্ডা জনিত অসুখের ঔষধ তুলনামূলক বেশি বিক্রি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে জ্বরের পরিমাণ বাড়ছে অন্যদিকে সিজনাল বা আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত কারণতো আছেই।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান