সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: উপমহাদেশের বরেণ্য অর্থনীতিবিদ, সিলেটের কৃতিসন্তান, সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী, সিলেট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিত ২৯ এপ্রিল শুক্রবার রাত ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সদ্য প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ‘সমালোচনা করে’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সিলেটসহ দেশজুড়ে তোপের মুখে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।
এ ঘটনায় সিলেট আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ তাকে সিলেটে অবাঞ্ছিত করার ঘোষণা দেয়। পাশাপাশি যুবলীগ এক বিবৃতিতে মুক্তাদিরকে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে সিলেটে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার পাশাপাশি সিলেট এলে গণধোলাইয়ের হুমকি দেয়। জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও মুক্তাদিরকে এ ঘটনায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়। অন্যতায় সিলেটে তাকে প্রতিহত করারও হুমকি দেওয় হয়।
যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হুমকি-ধামকির পর সিলেট ছাড়েন খন্দকার মুক্তাদির। প্রতিবার সিলেটের ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে তিনি ঈদের জামাত আদায় করলেও এবার তাকে শাহী ঈদগাহের মাঠে দেখা যায়নি। জনরোষে পড়ার আশঙ্খায় তিনি ঈদের জামাতে অংশ নেননি বলে গুঞ্জন রয়েছে।
দীর্ঘদিন পর সোমবার (৯ মে) সিলেট ফিরেছেন তিনি। কিন্তু খন্দকার মুক্তাদির সিলেট এলেও যুবলীগ বা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায় নি। তবে বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের একটি অংশের সঙ্গে মুক্তাদিরের গোপন সমঝতার রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি বলেন, ‘আমরা প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছি। পরবর্তীতে মুক্তাদির সাহেব উনার বক্তব্য প্রত্যাহার করে ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যটাস দেন। অবাঞ্ছিত করার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ দেখবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’
মুক্তাদিরের সঙ্গে গোপন সমঝোতার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে যুবলীগ সভাপতি মুক্তি বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।’
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান