সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সারা দেশে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের তিনি বলেছেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও কঠিন হবে। এ জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
শনিবার (৫ মে) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি এ বিষয়টি জানান বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নেতারা জানান, দলীয় সভাপতি বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সারা দেশে ইভিএমে হবে। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও কঠিন হবে। যোগ্য প্রার্থী বেছে নিতে সারাদেশে জরিপ চলছে বলেও সবাইকে জানান সভাপতি।
বৈঠকে দলের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিএনপির নির্বাচনের অংশগ্রহণের বিষয়ে কথা তুললে জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছুই কঠিন থেকে কঠিনতর হবে এবার। বিএনপির নেতা তারেক রহমান এবার রমজানে ইফতার পার্টির মাধ্যমে ওয়ার্ড নেতাদের সঙ্গেও ভার্চুয়ালি সভা করেছে। পশ্চিমাদেশে অন্তত ৫০টি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে। তারা কিন্তু চুপ করে বসে নেই।’
দলের নেতাদের উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দল গোছাতে হবে। সর্বস্তরে সম্মেলন করে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।’ সম্মেলন যথাসময়েই হবে উল্লেখ করে তিনি দলীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশনা দেন।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বলেন, দলীয় সভাপতি তার বক্তব্যে নির্ধারিত সময়ে জাতীয় সম্মেলনের কথা বললেও, সম্মেলনের তারিখ কিংবা সম্মেলনকে ঘিরে উপকমিটির বিষয়ে কোনও দিকনির্দেশনা দেননি।
১৪ দলীয় জোটে থাকা ছোটদলগুলো যারা অনেকটাই অস্তিত্বহীন তাদের আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাখার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জোট থাকবে।’
বৈঠকে সাংগঠনিক সম্পাদক তাদের রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে তারা তৃণমূলের সম্মেলন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন, নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের মদদদাতাদের বিষয়টি উপস্থাপন করেন। এ প্রেক্ষাপটে যে সব সাংগঠনিক শাখায় এখনও সম্মেলন হয়নি, সে সব শাখার অধীনে থাকা ইউপিসহ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যারা বিরোধিতা করেছেন তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া তাদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বলেন, ‘যদি কোনও সাংগঠনিক শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ ওঠে, তাদের সম্মেলনে কার্যক্রম থেকে সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রস্তুতি কমিটি করে সম্মেলন শেষ করার নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। একই সঙ্গে নবগঠিত কমিটিতে যাতে তারা নেতৃত্বে আসতে না পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।
সূত্রে জানা গেছে, দলটির একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৃণমূলের আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সমন্বয়ের কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে, কিন্তু সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলন হচ্ছে না। এতে আমাদের তৃণমূলের সব সংগঠনকে নিয়ে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়বে।
এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বিভাগওয়ারি আটটি কমিটি রয়েছে। তৃণমূল আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পাশাপাশি সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলনের বিষয়েও তারা দেখভাল করবেন।’
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান