হবিগঞ্জ প্রতিনিধি;: হবিগঞ্জের মাধবপুরে তরুণীর স্তনকাটাসহ নৃশংস হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মাহবুবুর রহমান ওরফে সুমন মিয়া (২২)-কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব-৯ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত সুমন মিয়া মাধবপুর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের মারুফ মিয়ার পুত্র। দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার ও মিডিয়া অফিসার সোমেন মজুমদার।
জানা যায়, নিজ বাড়িতে গত মঙ্গলবার ভোররাতে হামলার শিকার হন ১৯ বছরের ওই তরুণী। সেহেরির সময় ঘরের বাইরে বের হলে তাকে জাপটে ধরে ছুরিকাঘাত করে স্থানীয় যুবক সুমন মিয়া ও তার সঙ্গীরা। মেয়েটির চিৎকারে পরিবার ও আশপাশের লোকজন ছুটে এসে প্রথমে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে সোমবার বাড়িতে নেয়া হয়েছে মেয়েটিকে।
হামলার ঘটনায় (২৫ এপ্রিল) ছয়জনকে আসামি করে মাধবপুর থানায় মামলা করেন তরুণীর বাবা। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হয়। তরুণীর বাবা হবিগঞ্জ গ্যাসফিল্ড এলাকায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। মা নোয়াপাড়ার একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক।
ভোক্তভূগী তরুণী জানান, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সে (সুমন) আমাকে বিরক্ত করত। প্রথমে সে নাম-পরিচয় না দিয়া আমার দরজার সামনে চিঠি রাখত। পরে সে তার ফোন নাম্বার দিয়ে চিঠি রাখত। আমি মোবাইল ফোন ব্যবহার করি না। কয়েক দিন পর আমাকে সরাসরি প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আমি তাকে না করে দিই। তখন সে আমাকে বলে আমার জীবন নষ্ট করে দেবে। কিন্তু লজ্জায় আমি কাউকে কিছু বলি না।
তিনি বলেন, ১৯ তারিখ ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে ঘরের পাশেই টিউবওয়েলে হাতমুখ ধুতে যাই। মুখ ধুয়ে আসার সময় টিউবওয়েলের কাছেই আমার ওপর হামলা চালায় সুমন। মামলার পর থেকেই পলাতক ছিলেন সুমন।
র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার ও মিডিয়া অফিসার সোমেন মজুমদার জানান, গ্রেপ্তারকৃত সুমনকে মাধবপুর থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য আসামীদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃত সুমন এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকা করেছেন বলেও জানান তিনি।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান