সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি;: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার একটি ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ উপচে নদীর পানি হাওরে ঢুকে পড়ায় দুটি হাওরের ৮০০ একর জমির বোরোধান তলিয়ে গেছে। গত দুই দিনে এ দুটি হাওর তলিয়ে যায়। কৃষকরা আপ্রাণ চেষ্টা করেও হাওর দুটি রক্ষা করতে পারেননি।
কৃষক ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের রমাপতিপুর পশ্চিমের গলাকাটা হাওরে ইটাখোলা নদীর পানি উপচে রোববার বিকেলে হাওরে পানি ঢুকে পড়ে। গত দুই দিনে এ হাওরের ৩০০ একর জমির ফসল তলিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই হাওরের পানি রমাপতিপুরের পূর্বে শেওড়ার বন হাওরে ঢুকতে শুরু করে। এ হাওরে ৫০০ একর বোরো আবাদ করা হয়েছে।
রমাপতিপুর গ্রামের কৃষক আলা উদ্দিন জানান, রমাপতিপুর গলাকাটা হাওরে এবার তিনি ১৬ কেদার জমিতে বোরো আবাদ করেন। ধান পাকার আগেই নদীর পানি উপচে হাওরে পানি ঢুকে সব তলিয়ে যায়। আব্দুল হাদী নামে রমাপতিপুর গ্রামের আরেক কৃষক জানান,অনেক কষ্টে ধারদেনা করে ১০ কেদার জমিতে বোরো আবাদ করেছিলাম। সব তলিয়ে যাওয়ায় সামনে অন্ধকার দেখছি।
শেওড়া গ্রামের বর্গাচাষী কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, সাত কেদার জমিতে বোরো আবাদ করেছিলেন। মঙ্গলবার সব জমির ধান তলিয়ে যায়।
রমাপতিপুর গ্রামের বাসিন্দা পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাহান আহমেদ বলেন, গত কয়েকদিনের পাহাড়ি ঢলে ইটাখলা নদীর পানি উপচে গ্রামবাসীর দেওয়া ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ উপচে দুটি হাওরের ৮০০ একর জমির ধান তলিয়ে যায়। তিনি বলেন, এ দুটি হাওরের ধান কাচা থাকায় কৃষকরা কাটতে পারেননি। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেও ফসল রক্ষা করতে পারিনি।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা তপন চন্দ্র শীল বলেন, দুটি হাওরে পানি ঢুকে ফসলহানির ঘটনা ঘটেছে। এ দুটি হাওরে ৯০ একর জমি রয়েছে।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান