সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, ‘তাসফিয়া হত্যাকাণ্ডের আগে ২১ হাজার টাকা দিয়ে অস্ত্র কেনেন গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি রিমন। এছাড়া হত্যার ৪-৫দিন আগে অপর আসামি মহিনের বাসার সামনে চূড়ান্ত বৈঠক করে আসামিরা।’
বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে বেগমগঞ্জ র্যাব-১১-এর সিপিসি -৩ নোয়াখালী ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘জমি নিয়ে রিমনের চাচা বাদশাহর সঙ্গে একই বাড়ির আলমের বিরোধ চলছিল। যার কারণে দুই পক্ষের মধ্যে আগেও হামলা প্রতি হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে বিষয়টি সামাজিকভাবে মধ্যস্থতাকরার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে সময় নিহত তাসপিয়ার (৪) বাবা আবু জাহেরের বলা কথা আসামিদের বিপক্ষে যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আসামিরা মাওলানা আবু জাহেরকে হত্যার পরিকল্পনা শুরু করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ঘটনার ৪-৫দিন আগে গ্রেপ্তারকৃত রিমন, মহিন ও বাদশাসহ ৬/৭ জন মহিনের বাসার সামনে বৈঠক করেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রিমন ২১ হাজার টাকা দিয়ে একটি অস্ত্র কেনেন। পরে তারা বুধবার বিকেলে আবু জাহেরকে হত্যার জন্য যায়। এ সময় আসামিরা প্রথমে ইট ছুড়লে তা আবু জাহেরের কোলে থাকা মেয়ে তাসফিয়ার মাথায় গিয়ে লাগে। এতে শিশুটির মাথা ফেটে রক্ত বের হতে শুরু করে। এক পর্যায়ে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বাবা ও তার কোলে থাকা তাসফিয়াকে গুলি করে।’
র্যাব কমান্ডার বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা তাসফিয়াকে হত্যার পরপরই ঢাকায় আত্মগোপন করে। কিন্তু আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ঢাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সরব উপস্থিতির কারণে আসামিরা পরে নোয়াখালীর একটি চরে গিয়ে আত্মগোপনের পরিকল্পনা করে।’
র্যাব-১১-এর সিপিসি- ৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘তাসফিয়া হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। প্রধান আসামি রিমন ৫ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। আমরা আসামিদের বেগমগঞ্জ মডেল থানায় বুঝিয়ে দেব। এছাড়া ওই ঘটনায় এখনো পালাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত তাসফিয়ার বাবা আবু জাহের বলেন, ‘আমি খুনিদের ফাঁসি চাই। আমি যেহেতু প্রবাসে থাকি তাই আমার পরিবারের নিরাপত্তা দরকার। কারণ এরা ভয়ঙ্ককর সন্ত্রাসী।’
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব -১১ এর ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সিইও ল্যফটেনেন্ট কমান্ডার মাহমুদ পাশা (পিএসসি), র্যাব ১১ এর কর্মকর্তারাসহ নোয়াখালী জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর থানার চরক্লার্ক এলাকা থেকে তাসফিয়া হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি শুটার রিমনসহ (২৩) পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান