সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: দু’দিন আগেই তিন বছরের শিশু রাহুল দাসকে তার প্রতিবেশি এক নারী শ্বাসরোধে হত্যা করেন। হত্যার পর ওই নারী শিশুটির মরদেহে স্যুটকেসে ভরে ফেলে দেন বাঁশঝাড়ে। সোমবার সকালে শিশু রাহুলের মরদেহ স্যুটকেসেই পাওয়া যায়। এ ঘটনায় আটককৃত নারী পূরবতী দাস জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান।
আটক পূরবতী দাসের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, নগরীর হাওলাদারপাড়ার সবুজবাগ আবাসিক এলাকার বাবুল দেবের কলোনিতে দুটি কক্ষে ভাড়ায় থাকেন পূরবতী দাস ও রুমা দাস। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে রাহুল দাসের মা রুমা দাসের সঙ্গে পূরবতী দাসের বাগবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে রুমা দাসের সন্তানকে বাসায় ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন পূরবতী দাস। শনিবার দুপুর ১টার দিকে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর একটি স্যুটকেসে ভরে খাটের নিচে রেখে দেন পূরবতী দাস। মরদেহ পচে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হলে সোমবার ভোরে কলোনির পাশের বাঁশঝাড়ের ফেলে দেন তিনি।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর থেকে শিশু রাহুল দাস রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়।তাকে পেতে তার পরিবার হণ্যে হয়ে খুজলেও রাহুলের সন্ধান মিলেনি। আশপাশের এলাকায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রাহুলের সন্ধান না পাওয়ায় ওইদিনই তার বাবা রাজমিস্ত্রি রুবেল দাস থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে হাওলাদারপাড়ার সবুজবাগ আবাসিক এলাকার বাবুল দেবের কলোনির পাশের বাঁশঝাড় থেকে শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়।সকালে স্থানীয়রা মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মরহেদ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয় রাহুলের প্রতিবেশি পূরবতী দাসকে।পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক হওয়া ওই নারী শিশু রাহুলকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
এদিকে শিশু রাহুল দাসের মরদেহ পাওয়ার পর তার স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে ওই পরিবারে চলে শোকের মাতম। মরদেহ উদ্ধারের খবরে ঘটনাস্থলে ভিড় করেন বিপুল সংখ্যক উৎসুক এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে রাহুলের বাবা রাজমিস্ত্রি রুবেল দাস জানান, শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর থেকে রাহুল দাসকে নগরের হাওলাদারপাড়া কালিবাড়ি এলাকার বাসায় খুঁজে পাননি তারা। এরপর থেকে আশপাশের এলাকায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও বাচ্চাটিকে পাওয়া যায়নি। ওইদিনই এ ঘটনায় তিনি থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন।
তিনি বলেন, ‘দুদিন পর আজ বাচ্চাটার মরদেহ পেলাম। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান