সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি;: ‘তালাবদ্ধ’ ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল স্কুল শিক্ষকের স্ত্রীর মরদেহ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনাটি শনিবার বিকেলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় ঘটেছে। এঘটনায় ওই দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে রোববার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার পাটকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মৃদুল চন্দ্র সরকার চাকরির সুবাদে উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের শেওড়া গ্রামে লজিংয়ে থাকতেন। প্রায় ছয় মাস আগে তিনি শাল্লার আনোয়ারহুা গ্রামের নিকিল চন্দ্র সরকারের মেয়ে চন্দা রানী সরকার কে বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রী কে নিয়ে পাঠকুড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় উঠেন। তিনি নেত্রকোনা জেলার কাইলাজুড়ি উপজেলার চানপুর গ্রামের বাসিন্দা।
শনিবার স্ত্রী চম্পা রানী দাস (২৭) কে ঘরে রেখে তালা দিয়ে তিনি বিদ্যালয়ে চলে যান। বিকেলে বাড়ি ফিরে দেখেন ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে প্যাঁচানো স্ত্রীর লাশ ঝুলছে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ ওই শিক্ষক স্বামী মৃদুল চন্দ্র সরকার (৩২)কে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়।
চস্পা রানী দাসের ভাই নিহার সরকার জানান, বিয়ের এক মাস পর জায়গা কিনবে বলে আমার বোনকে মারধর করে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে মৃদুল। আমরা এক লাখ ৫ হাজার টাকা দেই। দুই দিন আগে আমার বোন টাকার জন্য তাকে স্বামী নির্যাতন করছে বলে মুঠোফোনে জানায়। আমার বোনকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমি এঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেছি।
২০২১ সালের অক্টোবর মাসে উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়েছে তাদের বিয়ে হয়েছিল বলে তিনি জানান।
গ্রেপ্তারের পূর্বে স্কুল শিক্ষিক মৃদুল চন্দ্র সরকার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি যৌতুকের জন্য নির্যাতন করিনি। সে আত্মহত্যা করেছে।
জগন্নাথপুর থানার উপ পরিদর্শক জিয়া উদ্দিন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় ওই নববধু্’র ভাই যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে শিক্ষককে প্রধান আসামী করে এবং তার মা ও ভাইয়ের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। যারপ্রেক্ষিতে আমরা প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছি। অপর আসামীদের প্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান