সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রেমিককে হত্যার দায়ে প্রেমিকা শিখা খাতুনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। একই মামলায় আরো ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি ছাড়া বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শিখা খাতুন জেলার দৌলতপুর উপজেলার ভুরকাপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন দৌলতপুর উপজেলার ভুরকাপাড়া গ্রামের মৃত জলিল সরদারের ছেলে আব্দুল মান্নান (৬০), মান্নানের ছোট ভাই সাদু সরদার (৪৬), একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাজুল সরদার (৪৫) মৃত শওকত সরদারের ছেলে বজলু সরদার (৪৮) এবং রাজন আলীর স্ত্রী আজমিরা খাতুন (৩২)।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌসুলি অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিখার সঙ্গে ভেড়ামারা উপজেলার জুনায়াদহ খন্দকার পাড়া এলাকার মীর শহীদুলের ছেলে রায়হানের (২৬) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্ক শিখার পরিবার মেনে না নেওয়ায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর রাতে রায়হানকে ফোন করে বাসায় ডেকে নেয় শিখা। ওই রাতেই আসামিরা রায়হানকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যা করে লাশ গুম করে।
পরদিন ৭ অক্টোবর ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ পালপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ রায়হানের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ৯ অক্টোবর নিহতের পিতা মীর শহীদুল আসামিদের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ধার্য দিনে বুধবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান