জৈন্তাপুর প্রতিনিধি;: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে থানায় মামলা হয়েছে। থানার এসআই শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে উভয় পক্ষের এক হাজারের বেশি লোককে আসামী করে এই মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গত রবিবার রাত দেড়টা থেকে পরদিন সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত জৈন্তাপুর উপজেলার হাউদপাড়া ও শ্যামপুর গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ থামাতে মধ্যস্থতা করতে গিয়ে নিহত হন পার্শ্ববর্তী হেমু ভাটপাড়া গ্রামের কোরআনে হাফেজ মাওলানা সালেহ আহমদ। হত্যাকান্ডের ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান জৈন্তাপুর থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমদ।
ওসি জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় এসআই শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে ৭৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও প্রায় এক হাজার জনকে আসামী করে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উভয় পক্ষের ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। নিহত সালেহ আহমদের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর স্বজনরা হত্যা মামলা দায়ের করবেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
প্রসঙ্গত, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রবিবার রাত দেড়টার দিকে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের হাউদপাড়া ও শ্যামপুরের লোকজন সংঘর্ষে জড়ান। পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষ থামাতে হেমু ভাটপাড়ার হাফেজ মাওলানা সালেহ আহমদসহ কয়েকজন মধ্যস্থতার উদ্যোগ নেন। এসময় হামলায় হাফেজ সালেহ আহমদ ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
সিলেট৭১নিউজ /আইআর/জেবি