শাবিপ্রবি প্রতিনিধি;: কপালে টিপ পরায় রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে হেনস্তার শিকার হন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা।
সোমবার (৪ এপ্রিল) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. হিমাদ্রী শেখর রায় বলেন, দিনদিন বাংলাদেশ উন্নত হচ্ছে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে পরিচিত পরিচিত হচ্ছে। তবে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে আমরা এখনো পিছিয়ে আছি। শালীনতা বজায় রেখে যেকোনো ধরনের পোশাক পড়লে সে ক্ষেত্রে সবার সম্মান জানানো উচিত। একজন নারীকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য যে মন্তব্য করেছেন তা অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি আরো বলেন, আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি কটুক্তি করা সেই ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছেন। এরকম ঘটনা বাংলাদেশে পুনরাবৃত্তি না ঘটুক এটাই আমাদেওর প্রত্যাশা।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শাবিপ্রবি শাখার সাধারণ সম্পাদক অশোক বর্মণ অসীম বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। তাই সাম্প্রদায়িকতা কে কেন্দ্র করে কারো উপর কোন আঘাত করা না হয়। তাই প্রভাষক লতা সমাদ্দারের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের শাবিপ্রবি শাখার উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. নারায়ন সাহা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পূরবী চ্যাটার্জী। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে হেনস্তার শিকার হন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার। তিনি অভিযোগ করেন, হেঁটে কলেজের দিকে যাওয়ার সময় হুট করে পাশ থেকে মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা একজন- ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই বাজে গালি দেন তাকে। ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তির গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল। ঘটনার প্রতিবাদ জানালে একপর্যায়ে তার পায়ের ওপর দিয়েই বাইক চালিয়ে চলে যান সেই ব্যক্তি।
সিলেট৭১নিউজ /আইআর/সিমি