সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: নারায়ণগঞ্জে বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এসময় পুলিশের সাথে বেশ কিছু সময় ধস্তাধস্তি হয়। সোমবার (২৮ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় এ ঘটনা ঘটে৷
ভোজ্যতেল, চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে সোমবার (২৮ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে হরতাল ডেকেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সকাল পৌণে ৬টায় জোটের নেতা-কর্মীরা নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নম্বর রেলগেইট এলাকা থেকে মিছিল বের করে।
মিছিলটি একাধিকবার শহরের প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় জোটের নেতা-কর্মীরা সড়কে চলাচল করা বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে দেয়। বেলা ১২টা পর্যন্ত হরতাল সমর্থনে যানবাহন চলাচলে নিরুৎসাহিত করেন। মিছিল চলাকালীন চাষাড়া মেডিনোভা হাসপাতাল ও গলাচিপার মোড়ে দুটি হাতবোমা বিস্ফোরিত হয়।
সকাল পৌণে ৭টার দিকে চাষাড়ায় বামজোটের মিছিলটি বিজয়স্তম্ভের সামনে এলে পুলিশ বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি এগিয়ে যেতে চাইলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় কয়েকজন কর্মী লাঠিচার্জের পরও বাম নেতারা মিছিল অব্যাহত রাখেন। এরপর মিছিলটি ২ নম্বর রেলগেইট এলাকায় এলে আবারো বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশ ও বাম নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে ২ নম্বর রেলগেইটে সমাবেশ করেন বামজোটের নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের জেলা সমন্বয়ক ও বাসদের সমন্বয়ক নিখিল দাস, জেলা সিপিবির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আবু হাসান টিপু, বাসদ নেতা আবু নাঈম বিপ্লব প্রমুখ।
হরতালের সমর্থনে বের হওয়া মিছিলে পুলিশের লাঠাচার্জের প্রতিবাদ জানিয়ে বাম নেতারা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিঃশ্বাস উঠে গেছে। গণদাবির মুখে অর্ধবেলা হরতাল ডেকেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। শান্তিপূর্ণ হরতালে পুলিশ বাধা দিয়েছে, লাঠিচার্জ করেছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকার বেতনভোগ করে জনদাবির আন্দোলনে হামলা চালায় পুলিশ। আওয়ামী লীগ সরকারের শুধু লুটপাটই চালাচ্ছে না, সেই লুটপাটের বিরুদ্ধে জনগণ দাঁড়ালে তাদের দমাতে পুলিশসহ রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করছে। এভাবে বেশিদিন চলবে না।’
সিলেট৭১নিউজ /আইআর/নদি