সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে আর কেউ খেলতে পারবে না। এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কখনো কেউ কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ইনশাল্লাহ এগিয়ে যাবে।
শনিবার (২৬ মার্চ) চার দিনব্যাপী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ আমরা দারিদ্র্যের হার কমাতে সক্ষম হয়েছি, একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না। জাতির পিতা যে লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন আমরা তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ এই বাংলাদেশের কোনো মানুষই ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র আওয়ামী লীগ ২০০১ সালে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। এছাড়া কোনো সরকার তা করেনি, বরং প্রাণহানি ঘটিয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যদি বাংলাদেশের ইতিহাস দেখি, সেই ৭১ থেকে ৭৫ সাল এবং ৭৫ এর ১৫ আগস্টের চরম আঘাত। তারপরে অন্ধকারের যাত্রা শুরু। বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে তার স্বাধীনতার চেতনা, জয় বাংলা স্লোগান, ৭ মার্চের ভাষণ, বঙ্গবন্ধুর নাম নিষিদ্ধ, ছবি নিষিদ্ধ, ২১ বছর এভাবে বাংলাদেশের বিজয়ের ইতিহাস পদদলিত হয় এবং অন্য ইতিহাস জানানোর চেষ্টা করা হয়। ইতিহাস কখনো কেউ মুছে ফেলতে পারে না। আর সত্যের জয় হয়। এটা কেউ কখনো বাধা দিয়ে থামিয়ে দিতে পারে না। আজ সেটাই হয়েছে।
তিনি বলেন, ২১ বছর পর প্রথম আওয়ামী লীগ সরকারে আসে। মাত্র পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিলাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর আমি ২০০১ সালে করেছিলাম। এছাড়া যদি আমরা বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করি, কোনোদিনও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর হয়নি। ৭৫ সাল থেকে একের পর এক রক্তপাত হয়েছে, খুন হয়েছে, প্রতিবারই কোনো না কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার পর আমরা সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলাম।
এসময় দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই এদেশের জনগণের প্রতি তারা বারবার ভোট দিয়ে আমাদের তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে বলেই আজকে আমরা ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করার সুযোগ পেয়েছি, ২০২১ সাল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন সুযোগ পেয়েছি। যদিও করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের অনুষ্ঠান সীমিত আকারে করতে হয়েছে। আমরা ২০২২ সাল পর্যন্ত নিয়ে এসেছি।