কে.এ.রাহাত;: গেল বছররের নবেম্বরে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে গোয়াইনঘাটের ডৌবাড়ী ইউনিয়নে বিপুল ভোটে (চেয়ারম্যান) নির্বাচিত হন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা এম.নিজাম উদ্দিন।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে নিজাম বলেছেন,চেয়ারম্যান না জনগণের সেবক হয়ে থাকতে চাই’ জনগণের সেবার ব্রত নিয়ে রাজনীতিতে আগমন করেছিলেন তিনি। নিরলস পরিশ্রম করে কাজ করে চলেছেন আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে। লক্ষ্য- সমাজ ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখা। চেয়ারম্যান এম.নিজাম বলেন, শুধু জনপ্রতিনিধি হিসেবে নয়, তিনি তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে জনগণের সেবক হিসেবে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে চান।
তার কর্মকাণ্ডে মনে হয় তিনি নবীন নয়। তিনি অনেক প্রবীণ। তার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেক। এ সকল সফল মানুষের পেছনে আছে কিছু গল্প, তা অনেকটা রূপকথার মতো। আর সেসব গল্প থেকে মানুষ খুঁজে নেয় স্বপ্ন দেখার সম্বল, এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন প্রেরণা।
নির্বাচিত হওয়ার পর মাত্র কিছু দিনের মাথায় তার প্রিয় ইউনিয়নকে উন্নয়নের মাস্টার প্ল্যানের আওতায় এনে ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। দৃশ্যপট পরিবর্তন করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের। মেধা, মনন, কর্ম প্রয়াস শ্রম ও অধ্যাবশায়ের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে গড়েছেন পরিশীলিতভাবে এক উজ্জ্বল অধ্যায়ে।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সর্বোপরি গরীব মেহনতী মানুষের প্রকৃত জনদরদী হিসেবে তিনি এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। নির্বাচনকালীন সময়ে সাধারণ জনগনকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে একজন সফল ও জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে সবশ্রেণির মানুষের অন্তরে স্থান করে নিবেন খোব কম সময়ে।
জনপ্রতিনিধি হওয়ার কারণ কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ার একটা বড় কারণ হলো, আমরা পারিবারিকভাবে অনেক দিন ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছি। সেই সঙ্গে সমাজসেবামূলক কিছু কাজ করা, দেশের উন্নতির কাজে কন্ট্রিবিউশন করা এবং স্থানীয় অনেক বিষয় আছে, যেমন- অনেকে অন্যায় এবং অত্যাচারের শিকার হয়েছেন, তাদের সঙ্গে থেকে কাজ করা আর জনগণের সেবা করার জন্যই।
বিশেষ করে শিক্ষা-দিক্ষায় পিছিয়ে পড়া ডৌবাড়ী ইউনিয়ন বাসীকে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা, যোগাযোগ ক্ষেত্রে রাস্তা-ঘাট মেরামত, নতুন রাস্তা ও কালভার্ট নির্মান, তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞানের বিকাশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ইনশাল্লাহ ডৌবাড়ী ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে রুপান্তরিত করবো।
এলাকার সাধারণ মানুষের মতে, আমরা নেতা বা চেয়ারম্যান বুঝি না। নিজাম চেয়ারম্যান একজন ভালো মানুষ। তিনি একজন কর্মঠ ব্যক্তি। তিনি চেয়ারম্যান পদে থাকলে আমাদের তথা এলাকার উপকার হবে। আমাদের দুঃখ-দুর্দশায় তাকে সহজেই পাশে পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে তিনি সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ, পরিশ্রমী ও মেধাবী সমাজ সেবক এবং উদীয়মান নেতা হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন।
সিলেট৭১নিউজ /আইআর