সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: ছেলে মেয়েদের খেলাধুলায় বাধা দেওয়া এবং সম্প্রতি কয়েকজনের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে পাঁচটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এছাড়া দুইটি বসতবাড়ির পাটকাঠির মাচায় আগুনও ধরিয়ে দেয় গ্রামবাসীরা।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে ইউনিয়নের বালিয়াচড়া ও সোনাখোলা গ্রামের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহত রুবেল, জালাল, সালেহা বেগম, খোকন মুন্সি, রাজ্জাক শেখ, ওমর আলী মোল্লা, ইমরান মাতুব্বর, এনামুল শেখ, লালন হরকরা, রমজান শেখ, হিট মাতুব্বর, মিজানুর মুন্সি, বোরহান শেখ, জাকির ও বিল্লাল হোসেনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, আলগী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাউসার ভূঁইয়ার একটি জমির উপর বালিয়াচড়া গ্রামের ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা করত। সোনাখোলা গ্রামের কিছু লোকজন ছেলে মেয়েদের খেলাধুলায় বাধা দেয়। এ নিয়ে গত সপ্তাহে সোনাখোলা গ্রামের কয়েকজন যুবক বালিয়াচড়া গ্রামের মিরাজ, আলামিন, সাঈদ ও নাঈমকে মারধর করে। পরে বিষয়টি নিয়ে সোনাখোলা ও বালিয়া চড়া গ্রামের মাতব্বররা সালিশ বৈঠক করে মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু মীমাংসার আগেই মঙ্গলবার সকালে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষ চলাকালে বালিয়াচড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার মোল্লা, হান্নান মিয়া, গফফার ও হাবলু মাতুব্বরের বসত ঘরে ব্যাপক ভাঙচুরসহ ঘরের ভেতরে থাকা মালামাল লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুটি গ্রামের মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রæত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরবর্তীতে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।
তিনি আরো জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভাংগা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দুটি গ্রামের মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছে।
সিলেট৭১নিউজ /আইআর/আরবি